বাংলাদেশে দূতাবাস খোলার পরিকল্পনা করছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা।দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো এক টুইট বার্তায় এই ঘোষণা দেন। দক্ষিণ আটলান্টিকের বার্তা সংস্থা দ্য মেরকো প্রেস জানিয়েছে, কাতারে চলমান বিশ্বকাপ ফুটবলে আর্জেন্টিনা দলের প্রতি বাংলাদেশিদের সমর্থনের বিষয়টি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান বিশ্বকাপে মেক্সিকোর বিপক্ষে মেসির গোলের পর উল্লাসরত বাংলাদেশি সমর্থকদের একটি ভিডিও ফিফার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করার পর তা বহির্বিশ্বের নজর কাড়ে।
ভিডিওটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আর্জেন্টিনার বিভিন্ন গণমাধ্যমেও ঘটনাটি ফলাও করে প্রচার করা হয়। পরে আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে টুইট করে বলা হয়, ‘আমাদের দলকে সমর্থন করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ! ওরা (বাংলাদেশিরা) আমাদের মতোই পাগল!’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগ দেন আর্জেন্টাইনরা। বাংলাদেশের সমর্থন পেয়ে বাঙালীদের ধন্যবাদ জানাতে ভুলেননি জাতীয় দলের কোচ লিওনেল স্কোলানীও। আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের প্রতি বাংলাদেশের অকুন্ঠ ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য একটি আর্জেন্টিনা ফ্যান গ্রুপ তৈরি করা হয় ফেসবুকে।
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাফিয়েরোকে উদ্ধৃত করে মার্কোপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “ভারতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের পর প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে তিনি ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সফর করবেন।”
এই বছরের আগস্টে, ক্যাফিরো বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করেন। এসময় তারা দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার প্রচার করতে এবং “বাণিজ্য বৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা” নিয়ে একমত হন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, “আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে যে, তারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অন্বেষণ করতে চায়। তারা বাংলাদেশে একটি দূতাবাস খোলার মাধ্যমে বাণিজ্যে বৈচিত্র্য আনতে চায়।”
২০২১ সালে, আর্জেন্টিনা বাংলাদেশে ৮৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছিল। যার বেশিরভাগ গম, ভুট্টা ও সয়াবিন জাতীয়। যা একটি রেকর্ড, যার ফলে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির ৮৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাণিজ্য উদ্বৃত্ত হয়েছে।
জুলাই মাসে আর্জেন্টিনা বাংলাদেশকে জানায় যে, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটি বাংলাদেশে সয়াবিন, গরুর মাংস ও সার রপ্তানির জন্য প্রস্তুত।