সর্বশেষ

জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস আজ

আজ ৫ ফেব্রুয়ারি, জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। ‘সুবর্ণজয়ন্তীর অঙ্গীকার, ডিজিটাল গ্রন্থাগার’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সারাদেশে এই দিবসটি আয়োজনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদযাপনের জন্য সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর শাহবাগে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে এদিন বেলা ১১টায় শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতীয় গন্থাগার দিবস উদযাপনের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে।

উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি। এতে মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। সভাপতিত্ব করবেন সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, প্রযুক্তির নতুন ধারার সাথে তাল মিলিয়ে সরকার গ্রন্থাগারের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছে। একটি জ্ঞানমনস্ক, সুন্দর ও আলোকিত সমাজ গঠনে গ্রন্থাগারের ভূমিকা অপরিসীম। মানব সভ্যতার সূচনা, বিকাশ ও ধারাবাহিকতার অমূল্য তথ্যাবলি পুস্তকে গ্রন্থিত থাকে। গ্রন্থাগার সেই সংখ্যাতীত পুস্তকের বিপুল সমাহারকে ধারণ করে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে দেয়া বাণীতে বলেন, সরকার গ্রন্থাগারের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি গ্রন্থাগারগুলোকে ডিজিটালাইজেশনের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির অভাবিত উন্নয়ন-স্রোতে পরিবর্তনের নতুন ধারার বাস্তবায়নে উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে বর্তমান সরকার গ্রন্থাগারের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করছে, পাশাপাশি গ্রন্থাগারগুলোকে ডিজিটালাইজেশনের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো দিবসটি উদযাপন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *