আন্তর্জাতিক

চোখের সামনে ভবনের জানালা ফেটে গেল

তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৫-এ দাঁড়িয়েছে।

ভূমিকম্পের ঘটনায় গুঁড়িয়ে গেছে শতাধিক ঘরবাড়ি। স্থানীয়রা সামনে থেকেই ভূমিকম্পের এ ভয়াবহতা দেখেছেন।

তাদের একজন ওজগুল কনাকচি, মালটিয়াতে বসবাসকারী ২৫ বছর বয়সী এ তরুণী ভূমিকম্প থেকে প্রাণে বেঁচে গেছেন। কিন্তু তার দাবি, এ ঘটনা একটি ছোট ভূমিকম্প, যা একটি বড় ভূমিকম্পকে অনুসরণ করে এবং এটি ঠান্ডা আবহাওয়ায় উদ্বেগজনক।

বিবিসি তুর্কিকে কনাকচি জানান, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব ঠাণ্ডা ও এ মুহূর্তে তুষারপাত হচ্ছে। সবাই রাস্তায়, মানুষ কি করবে, তা নিয়ে বিভ্রান্ত। আমাদের চোখের সামনে, আফটারশকের কারণে একটি বিল্ডিংয়ের জানালা ফেটে গেছে।

তার (কনাকচি) দাবি, ভূমিকম্পের সময় মিসেস কনাকচি ও তার ভাই সোফায় ঘুমাচ্ছিলেন।

কনাকচি বলেন, আমরা একে অপরের দিকে তাকিয়ে বললাম, আপনি কি কাঁপছেন? আমি প্রদীপের দিকে তাকালাম, মনে হচ্ছে, এটি ভেঙে যাচ্ছে। আমার ৩ বছর বয়সী ভাতিজাকে ভেতরে নিয়ে আসতেই আমরা লাফ দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।

তিনি বলেন, আমাদের ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশেপাশের পাঁচটি ভবন ধসে পড়ে। শহরটিতে যানজট রয়েছে। কারণ, আফটারশকের ভয়ে লোকেরা ভবনগুলি থেকে সরে যেতে মরিয়া হয়েছে।

ইউএসজিএস’র তথ্যানুযায়ী, স্থানীয় সময় ভোর ৪ টা ১৭ মিনিটে প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আশপাশের অঞ্চল। ভূমিকম্পটি এতই প্রবল ছিল যে ৭০০ কিলোমিটার দূরে রাজধানী আঙ্কারাতেও এটি অনুভূত হয়।

এদিকে বহু ভবন ধ্বসে কয়েক হাজারের বেশি মানুষ আটকে পড়েছেন। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ভূপৃষ্ঠের ২৪ দশমিক ৭ কিলোমিটার গভীরে ছিল। প্রথম কম্পনের প্রায় ১১ মিনিট পর ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ৯ দশমিক ৯ কিলোমিটার।

ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হানে, তখন দেশটির অধিকাংশ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন। আর ভূমিকম্পের তীব্রতা এতোই বেশি ছিল যে এটি সাইপ্রাস দ্বীপেও অনুভূত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *