খেলাধুলা

চট্টগ্রামকে গুড়িয়ে দিয়ে জয় দিয়ে বিপিএল শুরু সিলেটের

তিনি চারবারের চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক। শুরুটাও চ্যাম্পিয়নের মতোই হলো মাশরাফি বিন মর্তুজার। বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে শুভাগতহোমের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স পাত্তাই পেলো না মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্সের কাছে।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামকে ৮ উইকেট আর ৪৫ বল হাতে রেখে হারিয়েছে সিলেট।

টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ৮৯ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। গুমোট আকাশের ফাঁক দিয়ে দুপুর গড়াতেই দেখা মেলে ঝলমলে সূর্য্যের। সেই তেজোদ্বীপ্ত সূর্য্যের মতোই উদ্দীপ্ত ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্সের বোলিং। সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফি একাদশ সাজিয়েছিলেন একেবারে কন্ডিশন বুঝে।

তিনিসহ একাদশে চার পেসার। দুই বিদেশি মোহাম্মদ আমির ও থিসারা পেরেরার সঙ্গে স্থানীয় রেজাউর রহমান রাজা। চতুষ্টয়ের আক্রমণে স্রেফ পুড়লো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

বোলাররাই অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন। সিলেটের সামনে লক্ষ্য ছিল মাত্র ৯০ রানের। শুরুতেই কলিন আকারম্যানকে (১) উইকেটরক্ষকের ক্যাচ বানিয়ে একটু আশা জাগিয়েছিলেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।

তবে এরপর খুব একটা বেগ পেতে হয়নি সিলেটকে। ২১ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় ২৭ রান করে আউট হন কদিন আগেই জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া জাকির হাসান।

নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুশফিকুর রহিম মিলে বাকি পথটা অনায়াসেই পাড়ি দিয়েছেন। শান্ত ৪১ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় ৪৩ আর মুশফিক ৮ বলে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে দর্শক বিনোদন তো দূরের কথা, রীতিমত টেস্টের ব্যাটিং প্রদর্শনী ছিল বিপিএলের শুরুতেই। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ধুঁকতে ধুঁকতে ৯ উইকেটে ৮৯ রান তোলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

টস জিতে প্রথমে শুভাগতহোমের চট্টগ্রামকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানান সিলেট অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে চট্টগ্রাম। টপঅর্ডার চার ব্যাটারের কেউ ন্যুনতম একশ স্ট্রাইকরেটেও রান করতে পারেননি।

মেহেদি মারুফ ১৪ বলে ১১ করে রানআউট হন। দারউইশ রসুল ৯ বলে ৩, আল আমিন ২০ বল খেলে ১৮ আর অধিনায়ক শুভাগতহোম ৭ বলে করেন ১ রান।

এরপর উসমান খান (২), উম্মুক্ত চাঁদরাও (৫) দ্রুত ফিরে গেলে ৬৭ রানে ৭ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। আফিফ হোসেন একটা প্রান্ত ধরে কিছুটা সময় লড়েছিলেন। ২৩ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৫ করে আউট হন তিনি। পুরো ২০ ওভার খেলেও ৮৯ রানের বেশি করতে পারেনি চট্টগ্রাম।

সিলেটের পেসার রেজাউর রহমান রাজা ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে নেন ৪টি উইকেট। ৭ রানে ২ উইকেট শিকার মোহাম্মদ আমিরের। অধিনায়ক মাশরাফি ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *