খেলাধুলা সর্বশেষ

গোলরক্ষকের নৈপুণ্যে ডাচদের হারিয়ে সেমিতে উঠল আর্জেন্টিনা

দুই গোলে এগিয়ে থাকা আর্জেন্টিনার জয়টা ছিল সময় সাপেক্ষ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ডাচ তারকা ফুটবলার ওট উইঘোর্স্ট জোড়া গোল করলে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচটি ২-২ ব্যবধানে ড্র হয়। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে আসেনি ফলাফল। এরপর টাইব্রেকারে আর্জেন্টাইন গোলকিপার এলিমিলিয়ানো মার্টিনেজের নৈপুন্যে নেদারল্যান্ডসকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠল লিওনেল মেসিরা।

লুসাইল স্টেডিয়ামে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস। ১২০ মিনিটের খেলায় ২-২ গোলে সমতা হওয়ার পর খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।পুরো ম্যাচের ৪৮ শতাংশ সময় নিজেদের কাছে বল রাখতে সক্ষম হয় আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। আর প্রতিপক্ষের গোলবারে মোট শট নিয়েছে মোট পাঁচটি।

এদিন ম্যাচের শুরু থেকে দুই দলই  রক্ষণ মজবুত রেখে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে। ছোট ছোট পাস খেলে উভয় দল।

প্রথম ২০ মিনিটে দুবার আর্জেন্টিনার বক্সে ঢুকতে পেরেছেন মেম্ফিস ডিপাই, কডি গাকপোরা। কিন্তু খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয়নি মার্টিনেজকে। অন্য দিকে থ্রু বলে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে আর্জেন্টিনা। দুবার প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকলেও গোলের মুখ খুলতে পারেননি মেসিরা।

কড়া রক্ষণে রাখা হয় মেসিকে। তিনি বল পেলেই ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংরা এগিয়ে আসছিলেন। অন্তত তিন জন মিলে তাকে আটকানোর চেষ্টা করেন।

তবে বেশিক্ষণ আটকে রাখা গেলো না মেসিকে।৩২ মিনিটে ডি বক্সের একটু সামনে থেকে মেসির যাদুমাখা পাসে প্রথম গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। ডি বক্সের একটু সামনে থেকে ডিফেন্সচেরা পাস দেন মেসি। দৌড়ে এসে ফন ডাইকের আগেই আলতো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন ডিফেন্ডার মোলিনা।

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে মনযোগ দেয় নেদারল্যান্ডস। দু প্রান্ত ব্যবহার করে আক্রমণে উঠছিলেন গাকপোরা। কিন্তু আর্জেন্টিনার বক্সে সেরকম বিপদ তৈরি হয়নি।

৬৩ মিনিটের মাথায় বক্সের কিছুটা বাইরে ফ্রিকিক পায় আর্জেন্টিনা। মেসির শট একটুর জন্য গোলবারের ওপর দিয়ে যায়।

কিছুক্ষণ পর বক্সের মধ্যে আকুনিয়াকে ফাউল করেন ডেঞ্জিল ডামফ্রিস। পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। এবার গোল করতে ভুল করেননি মেসি। গোলরক্ষকের বাঁ দিক দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। চলতি বিশ্বকাপে এটি মেসির চতুর্থ গোল। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।

আর্জেন্টিনা যখন জয়ের স্বপ্নে বিভোর খেলার বাকি আর ৭ মিনিট তখন শুরু করেন ডাচরা। ডান দিক থেকে এক ক্রসে দুর্দান্ত হেডে মার্টিনেজকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন বেগহোর্স্ট।

সমতাসূচক দ্বিতীয় গোলটি আরও অবিশ্বাস্য। যোগ করা সময়ের তখন মিনিট খানেকও বাকি নেই। উড়িয়ে ফ্রি কিক না নিয়ে নিচু শট নেয় ডাচরা। ডি বক্সে বল পেয়ে মার্টিনেজকে আবারও ফাঁকি দেন বেগহোর্স্ট। প্রাণ ফিরে পায় নেদারল্যান্ডস।

এমিলিয়ানো মার্টিনেজ প্রমাণ করলেন কেন তাকে বাজপাখি বলা হয় ডাচদের প্রথম দুটি শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। মার্টিনেজ প্রমাণ করলেন কেন তাকে বাজপাখি বলা হয়।টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জিতে সেমিতে যায় আর্জেন্টিনা। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *