সর্বশেষ স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়

গবেষণা প্রকল্পে ফেলোশিপ পেল হাবিপ্রবির ৮৪ শিক্ষার্থী

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপ পাচ্ছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ৮৪ জন শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব খান মো. রেজা-উন-নবী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি থেকে দেখা যায়, ভৌতবিজ্ঞান  এবং খাদ্য ও কৃষি বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে হাবিপ্রবির মোট ৮৪ জন শিক্ষার্থীকে এই ফেলোশিপের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা  হয়েছে।

হাবিপ্রবির ফেলোশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভৌতবিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ২৬ জন শিক্ষার্থী এবং খাদ্য ও কৃষি বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ৫৮ জন শিক্ষার্থীকে মনোনীত করা হয়েছে।

এদিকে, ভৌতবিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে হাবিপ্রবির পরিসংখ্যান বিভাগ হতে ৪ জন, পদার্থ বিভাগ হতে ৫ জন,  রসায়ন বিভাগ হতে ৩ জন, গণিত বিভাগ হতে ৭ জন,  কম্পিউটার সাইন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ হতে ১ জন এবং ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ হতে ৬ জন শিক্ষার্থী চূড়ান্তভাবে মননীত হয়েছেন।

আবার, ভেটেরিনারি এ্যান্ড অ্যানিমেল সাইন্স অনুষদ থেকে সর্বোচ্চ ৩৭ জন, কৃষি অনুষদ থেকে ১৬ জন, মাংস্যবিজ্ঞান অনুষদ থেকে ৪ জন এবং এগ্রিকালচারাল এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ১ জন শিক্ষার্থী মননীত হয়েছেন।

উক্ত ফেলোশিপে এমএসসি ক্যাটাগরিতে প্রত্যেকে ৫৪ হাজার টাকা, এমফিল ক্যাটাগরিতে ৯৯ হাজার টাকা ও পিএইচডি ক্যাটাগরিতে ৩ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে বলে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়।

১৯৭৭-৭৮ অর্থবছর থেকে গবেষণা কার্যক্রমকে আরও এগিয়ে নিতে ক্যাটাগরি-১ (ভৌত বিজ্ঞান), ক্যাটাগরি-২ (জীব ও চিকিৎসাবিজ্ঞান), ক্যাটাগরি-৩ তে (খাদ্য ও কৃষি বজ্ঞান) এই ফেলোশিপ প্রদান করা হয়।

তিন ক্যাটাগরির নির্ধারিত কমিটি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত ও গবেষণারত এমএস, এমফিল, পিএইচডি, পোস্ট-ডক্টরাল শিক্ষার্থী ও গবেষকদের আবেদন গ্রহণ, যাচাই-বাছাই ও সাক্ষাতকার গ্রহণের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এই ফেলোশিপ প্রদান করে থাকে।

উল্লেখ্য যে,  ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে হাবিপ্রবি থেকে ১৩৭ জন শিক্ষার্থী এমএসসি পর্যায়ে এই গবেষণা অনুদান পেলেও এবছর নানাবিধ কারণে সে সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৮৪ জনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *