গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশি নাটকে অভিনেত্রীদের মধ্যে একচ্ছত্র আধিপত্য মেহজাবীন চৌধুরীর। লাস্যময়ী এ অভিনেত্রীর নাটক মানেই সুপারহিট। ভিন্নধর্মী চরিত্রে নিজেকে উপস্থাপন করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন মেহজাবীন।
ইউটিউবভিত্তিক নাটকের ক্ষেত্রেও মেহজাবীন চৌধুরীর জনপ্রিয়তা সবাইকে ছাড়িয়ে। এসব নাটকের শুটিংয়ের জন্য সারাবছরই ব্যস্ত থাকতে হয় এ অভিনেত্রীকে। এমনও শোনা গেছে, বছরে ৩০০ দিন শুটিং করেন মেহজাবীন।
তবে সম্প্রতি টিভি তথা ইউটিউব নাটকে উপস্থিতি কমেছে মেহজাবীনের। গুঞ্জন উঠেছে নিজেকে নাটক থেকে গুটিয়ে নিয়েছেন চৌধুরীকন্যা।
আর এই গুঞ্জনেরই কিছুটা সত্যতা মিললো রবিবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে মেহজাবীনের আলাপে।
সোমবার মুক্তি পাচ্ছে মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত নতুন ওয়েব সিরিজ “দ্য সাইলেন্স”। রবিবার রাতে রাজধানীর এসকেএস টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয় ওয়েব সিরিজটির প্রিমিয়র। এ উপলক্ষ্যে সেখানে হাজির হন নির্মাতা ভিকি জাহেদ, অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীসহ অন্য কুশলীরা।
অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন মেহজাবীন। নাটক ছাড়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি আসলে নাটক ছাড়ার কথা কখনোই বলিনি। আমি নাটকেরই মেয়ে। মনের মতো স্ক্রিপ্ট পেলে অবশ্যই নাটক করবো। আবার আসবো।”
সামনে ভালোবাসা দিবস ও ঈদ। অন্যান্য বছরে এ দুটি উপলকষ্যকে ঘিরে অসংখ্য নাটকে দেখা মেলে মেহজাবীনের। তবে এবার তার ভক্তরা সেটি থেকে যে বঞ্চিত হচ্ছেন, সেটিরও ইঙ্গিত দিলেন মেহজাবীন।”
তিনি বলেন, “এই ভ্যালেন্টাইনে একটাই কাজ আমার। সেটি হলো ‘দ্য সাইলেন্স’। এটাই দেখবেন একমাস। মানে পুরো ফেব্রুয়ারিজুড়ে।”
ঈদের নাটকের বিষয়ে একটু রহস্যই রাখলেন। বললেন, “ ঈদে কী হবে না হবে- কেমনে বলবো!”
তবে নাটক থেকে যে মেহজাবীন নিজেকে মোটামুটিও সরিয়ে নিয়েছেন সেটির ইঙ্গিতও দিয়েছেন এদিন। বলেছেন, নতুনদের জায়গা করে দিতে তার ইচ্ছের কথা।
প্রসঙ্গক্রমে মেহজাবীন বলেন, “আমরাই যদি কনটিনিউ করি তাহলে তো হবে না। একটা জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হবে আমাদের। আবার অন্যদের জন্যও জায়গা করে দিতে হবে। এখন অনেকেই ভালো করছে ইয়াং জেনারেশনের। তাদের জায়গা দিতে হবে। তারা অনেক ভালো করুক। আমি মনে করি ওদের সাপোর্ট দরকার।”
তবে, নাটকে উপস্থিতি কমলেও পর্দায় উপস্থিতি কমছে না মেহজাবীনের। হয়তো ওটিটি কন্টেন্ট তথা ওয়েব সিরিজেই বেশি সময় দিবেন তিনি। যেমনটা করছেন, আফরান নিশো কিংবা অপূর্ব।