খেলাধুলা

‘এটা আমার জীবনের সেরা সকাল ছিল’

শনিবার রাতটা উদযাপন করেই কাটিয়েছেন আরিনা সাবালেঙ্কা। দুচোখে ছিল না ঘুম একটুও। কখন রাত পোহাবে, সেই প্রতীক্ষায় ছিলেন। সেই শৈশবে যে স্বপ্ন বুনেছিলেন তিনি, তার দেখা পেলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে জয় দিয়ে। এমন তো হওয়ারই কথা। তা ছাড়া সকাল সকাল ট্রফি হাতে মেলবোর্নের রয়েল বোটানিক গার্ডেনে হাজির হওয়ার আনন্দটাও ছিল উপভোগ্য। সেখানে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ‘এই সকালটাই তাঁর জীবনের সেরা সকাল।’

টেনিসে এমন ভাগ্যবান যে কমই আছেন, ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইনালে উঠেই চ্যাম্পিয়ন হওয়া। যে সাফল্যের দেখা এর আগে কেবল রাইবাকিনা, কেনিন ও ওস্তাপেঙ্কোই পেয়েছিলেন। এবার সাবালেঙ্কাও সেটা করে দেখালেন। যদিও মেলবোর্নের নতুন রানির মুকুট পরার পরও বিশ্বাস হচ্ছে না তাঁর কীভাবে কী হলো, ‘আমার এখনও মনে হচ্ছে আমি অন্য কোনো গ্রহ থেকে এসেছি, কীভাবে কী হলো, সেটা বোঝার চেষ্টা করছি। আমি মনে করি এটা আমার জীবনের সেরা সকাল। কি সুন্দর এটি। আমি সর্বদা ম্যাচ নিয়ে ভাবি কিছু পয়েন্ট মাথায় ঘোরে, বিশেষ করে সর্বশেষ ম্যাচটি।’

এখন শুধু এগিয়ে যাওয়া। সারা বছরে আরও তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে আবার ছোটখাটো প্রতিযোগিতা। আপাতত সেদিকে মন দিতে চাইছেন না তিনি। তাঁর নজর বড় আসরেই। যেমনটা বলেছেন এই বেলারুশকন্যা, ‘চিন্তা করেছি ফেব্রুয়ারিতে দুবাইয়ে খেলব। আসলে আমার বিশ্রাম দরকার। কিছুটা মাথা ঠান্ডা রেখে আমাকে ভাবতে হবে এসব। এর পর আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।’

তবে ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম হাতে নেওয়ার পর অনেক নতুন প্রশ্ন ঘুরছে সাবালেঙ্কার মাথায়, যা নিয়ে তিনি ভাবছেনও। শনিবার রাতটা যে তাঁর জন্য ব্যতিক্রম ছিল, সেটা আরও একবার বললেন এই তরুণ নারী টেনিস খেলোয়াড়, ‘এটা সত্যিই রোমাঞ্চকর। আমার মাথায় অনেক কিছুই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। চেষ্টা থাকবে দ্বিতীয়টি দ্রুত হাতে পাওয়ার। গত রাতটা খুবই মজার ছিল। সবাই অনেক হাসিখুশিতে কাটিয়েছে। এটা সত্যি অন্য রাতগুলোর মতো ছিল না।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *