নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পরীক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, সাত দিনের আবশ্যিক বিষয়ের পরীক্ষা এমনিতেই একটা কষ্টকর ও ধৈর্যের ব্যাপার; তারপর দুই দিন বিরতি দিয়ে বিষয়ভিত্তিকের মতো এত বড় সিলেবাসের পরীক্ষা দেওয়া চরম কষ্টকর ও অমানবিক। বিশেষ করে নতুন প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সময়ের অভাবে অনেকে ভালো প্রস্তুতি নিতে পারেন না। তাই উত্তীর্ণ হতে পারেন না। আর এভাবে পেশাগত ক্যাডারের পদগুলো ফাঁকা থাকে।
৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজন প্রার্থী গত ২০ নভেম্বর পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) বরাবর পদসংশ্লিষ্ট বিষয়ের লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তনের আবেদন জমা দেন। আবেদনে বলা হয়, ৪৩তম ও এর আগের বিসিএস পরীক্ষাগুলোয় আবশ্যিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষার কমপক্ষে ১৫ দিন পর পদসংশ্লিষ্ট বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আবশ্যিক ও পদসংশ্লিষ্ট বিষয়ের লিখিত পরীক্ষার মাঝে অন্তত ১৫ দিনের ব্যবধান থাকলে লিখিত পরীক্ষার সব বিষয়ের প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হয়। ৪০, ৪১ ও ৪৩তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় আবশ্যিক ও পদসংশ্লিষ্ট বিষয়ের পরীক্ষার মাঝে ব্যবধান ছিল যথাক্রমে ২ মাস, ২২ দিন ও ১ মাস ৪ দিন। তাই পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে সময়সূচি পরিবর্তন করা হোক।
মাহফুজা আক্তার নামের একজন পরীক্ষার্থী বলেন, ‘গত ২০ নভেম্বর সময়সূচি পরিবর্তনের আবেদন পিএসসির চিঠিপত্র শাখায় জমা দেওয়া হয়। চিঠিপত্র শাখা থেকে আমাদের বলা হয়েছিল, আবেদনের কপি দ্রুত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক স্যারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। আমরা যাঁরা আবেদন করেছিলাম, তাঁদের মধ্যে ৬০ জনের নাম, পরীক্ষার বিষয় ও মুঠোফোন নম্বর লিখে নেওয়া হয়েছিল।’
এ বিষয়ে জানতে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) শাখায় যোগাযোগ করা হলে প্রথম আলোকে বলা হয়, তারা পরীক্ষা পেছানোর কোনো আবেদন পায়নি। এটি একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা, আগেই পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়। পরীক্ষা দ্রুত শেষ করার জন্য দুই পরীক্ষার মাঝে বিরতি কম রেখে পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করা হয়েছিল।
সূত্র – প্রথম আলো