ফলাফল বিদ্যালয় বার্তা

১৫ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষার ফল আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হতে পারে। ইতোমধ্যে খাতা মূল্যায়নের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। এবার ৮২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের খাতা মূল্যায়নের কাজ শেষ হলেও খাতাগুলো জেলা থেকে আসতে হবে। এরপর খাতা কম্পাইল করা হবে। এই কাজ শেষ হওয়ার পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করবে ডিপিই। এই প্রক্রিয়া শেষ করতে বেশ খানিকটা সময় প্রয়োজন।

ডিপিইর একটি সূত্র জানিয়েছে, খুদে শিক্ষার্থীদের খাতা কম্পাইলের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। তবে শিক্ষার্থী সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় এই প্রক্রিয়ায় অনেক সময় লাগবে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের অনানুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ওইদিনই ফল প্রকাশ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিপিই মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের খাতা মূল্যায়নের কাজ শেষ হয়েছে। খাতা কম্পাইলসহ বেশ কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এই কাজগুলো শেষ করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। ফল প্রকাশ করতে কিছুটা সময় লাগবে।

এবার প্রাথমিকে বৃত্তি পাবে সাড়ে ৮২ হাজার শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৩৩ হাজার এবং সাধারণ গ্রেডে ৪৯ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী বৃত্তি পাবে।

ট্যালেন্টপুলে বৃত্তির ক্ষেত্রে উপজেলাভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যার ভিত্তিতে মোট বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছাত্র এবং ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের মধ্যে জেন্ডারভিত্তিক মেধা অনুসারে প্রদান করা হবে। ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসিক ৩০০ টাকা এবং সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসিক ২২৫ টাকা করে পাবেন।

এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ ১৩ বছর পর আলাদাভাবে বৃত্তি পরীক্ষায় বসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। সারা দেশে বিভিন্ন কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছে প্রায় ৬ লাখ শিক্ষার্থী। পরীক্ষা শুরু হয় সকাল ১০টায়। দুই ঘণ্টার এ পরীক্ষা শেষ হয় দুপুর ১২টায়।

বাংলা, অঙ্ক, ইংরেজি, বিজ্ঞান বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বন্ধ থাকায় এই পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। স্কুলের বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিটি স্কুল থেকে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেয়। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে প্রতিটি কেন্দ্রে মোতায়েন করা হয় পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *