বুধবার (১৬ নভেম্বর) দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদভুক্ত সিভিল বিভাগের চারজন শিক্ষককে মারধর করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারী।
আহত শিক্ষকেরা হলেন বিভাগের চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান (৩৫), সহযোগী অধ্যাপক বেলাল হোসেন (৩৫), প্রভাষক হারুন অর রশিদ (৩০) ও নির্মল চন্দ্র রায় (৩০)। এছাড়াও নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত প্রভাষক মাহাবুব হোসেনও মারধরের শিকার হয়েছেন। তাঁরা সকলেই দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অভিযুক্ত ওই কর্মচারীর নাম তাজুল হোসেন (৪২)। তাঁর বাড়ি কিশোরগঞ্জে। ২০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত। তার এই কর্মকান্ডের জন্য তাকে সাময়িকভাবল বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মামুনুর রশিদ।
তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত অফিস সহায়ক তাজুল ইসলাম মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। বছর তিনেক আগেও ওই কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্ম সুপার গোলাম সারোয়ারের গায়ে হাত তুলেছিলেন। ওই ঘটনায় তিনি কিছুদিনের জন্য সাময়িক বরখাস্তও ছিলেন।
জানা যায়, আজ বিভাগের শিক্ষক-ছাত্র, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একাডেমিক শিক্ষাসফরের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সবার সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে বিভাগে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাজুল ইসলাম পৌঁছাতে দেরি করেন। বারবার তাঁকে কল করা হলে তিনি তা কেটে দিচ্ছিলেন। সকাল সোয়া নয়টার দিকে বিভাগে উপস্থিত হলে চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান তাঁর কাছে দেরি করার কারণ জানতে চান। এ সময় তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। এ নিয়ে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে টেবিলে রাখা কফির মগ দিয়ে উপস্থিত শিক্ষকদের মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকেন তাজুল। তাঁদের চিৎকারে পাশের কয়েকটি কক্ষ থেকে অন্যরা এসে তাজুলকে আটক করেন।
আহতদের বিষয়ে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আবু রেজা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, আহত চারজনের মাথার খুলি ফেটেছে। আরেকজনের ঠোঁট কেটে গেছে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম কামরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। অভিযুক্ত কর্মচারীর বিরুদ্ধে খুব শিগগির বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।