ইনজুরির কারণে সাদিও মানেকে ছাড়াই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে সেনেগাল। কিন্তু দলের খেলায় সাদিও মানের অনুপস্থিতি খুব একটা চোখে পড়েনি। ফিফা র্যাংকিংয়ে অষ্টম স্থানে থাকা ডাচদের বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছে ১৮ নম্বরে থাকা সেনেগাল। কিন্তু ভালো খেলেও ডাচদের কাছে হারতে হয়েছে ২-০ গোলের ব্যবধানে।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে দুদল। ৪ মিনিটেই পিএসভির মিডফিল্ডার গাকপোর করা ব্যাকহিল থেকে বারউনের শট সেনেগালের ডিফেন্স ব্লক করে দেয়। ম্যাচের ৯ মিনিটে বল পায়ে সেনেগালের সারের করা শট গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।
১৭ মিনিটে আবারো লাইমলাইটে গাকপো। তার বাড়ানো বলে ডেলে ব্লাইন্ডের হেড গোলবারে লেগে বাইরে চলে যায়। ১৯ মিনিটে সহজ সুযোগটি মিস করেন ডি ইয়ং। কর্নার থেকে ডি বক্সের ভেতর বল পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন এই বার্সা মিডফিল্ডার। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে ডাচ মিডফিল্ডার বারঘুইসের শট সেনেগালের চেলসির মিডফিল্ডার এডোয়ার্ডো মেন্ডি দুর্দান্তভাবে রুখে দেন। বল পজিশনে সমান অবস্থানে থেকে দুই দলই প্রথমার্ধ শেষ করে।
এরপর দুদলই গোলের লক্ষ্যে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যায়। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি কেউই। গোলশূন্য থেকেই বিরতিতে যায় সেনেগাল ও নেদারল্যান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর থেকেই নেদারল্যান্ডস ও সেনেগাল দুই দলই প্রথম গোলের দিকে তাকিয়ে ছিল। বলা যায় একের পর এক আক্রমণ করে যাচ্ছিল সেনেগালই। সেনেগালের সবচেয়ে ভালো সুযোগটি এসেছিল ৭৩ মিনিটের মাথায়। এভারটনের মিডফিল্ডার ইদ্রিসা গেই-এর শটটি ঠেকিয়ে দেন নেদারল্যান্ডসের গোলরক্ষক আন্দ্রিস নপাট। এটিই ছিল নপাটের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
তবে ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে নেদারল্যান্ডসের হয়ে ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন কোডি গাকপো। তিনি ফ্রাঙ্কি ডি জং-এর পাসে বল হেড করে পোস্টে নিয়ে যান। যখন নেদারল্যান্ডের সবচেয়ে বেশি একটি গোলের প্রয়োজন ছিল, তখন তাদের দলের বর্ষসেরা খেলোয়াড় হেডে গোল করেন
এরপরে ম্যাচে ৮ মিনিটের অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তের অর্থাৎ ৯০+৮ মিনিটে সেনেগালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন ডেভি ক্লাসেন। মেম্ফিস ডিপাই শট নিয়েছিলেন। মেন্দি তা প্রতিহত করলে বল যায় ক্লাসেনের কাছে। তিনি ফাঁকা গোলে বল ঠেলে দেন। ফলে তিন পয়েন্ট নিয়ে ডাচদের মাঠ ছাড়ে নেদারল্যান্ডস।