সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপে আগে জিততে পারেনি পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। গতবার রাশিয়া বিশ্বকাপে সুইসদের রক্ষণ দেয়ালে আটকে গিয়েছিল সেলেকাওরা। এবার কাতার বিশ্বকাপেও ওই রক্ষণ দুর্গ শক্ত করে খেলছিল সুইসরা।
প্রথমার্ধের শুরু থেকেই বারবার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র বল নিয়ে সুইজারল্যান্ডের বক্সের মধ্যে প্রবেশ করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু রিচার্লিসনের ফিনিশিংটা আজ ভালো না হওয়ায় গোলও আসছিল না। আগের ম্যাচের রিচার্লিসনকে আজ খুঁজে পাওয়া কঠিন ছিল। বরং, দুই উইংয়ে রাফিনহা এবং ভিনিসিয়ুস বারবার সুইসদের রক্ষণ ভাঙার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ব্যর্থ হন তারা। গোল আদায় করতে পারছিলেন না।
বিরতিতে দলে পরিবর্তন আনেন তিতে। পাকুয়েতাকে তুলে নিয়ে রদ্রিগোকে নামানো হয়। আক্রমণে আরও গতি বাড়ানোর চেষ্টা করছে ব্রাজিল। কিন্তু তবুও জমাট সুইস রক্ষণ।
৫৬ মিনিটে আবারও আবার সুযোগ নষ্ট করেন রিচার্লিসন। বাঁ প্রান্ত ধরে বক্সে ঢোকেন ভিনিসিয়ুস। ডান পায়ের আউট স্টেপে বল রাখেন তিনি। রিচার্লিসন পা ঠেকাতে পারলেই গোল হতো। কিন্তু পারেননি তিনি।
খেলার ৬৪ মিনিটে সুইজারল্যান্ডের জালে বল জড়িয়ে দেন ভিনিসিয়ুস। প্রথমে রেফারি গোল দিলেও পরে ভার প্রযুক্তির সাহায্যে বাতিল হয় সেই গোল। আক্রমণ তৈরি করার সময় অফসাইডে ছিলেন রিচার্লিসন। সেই কারণে গোল বাতিল হয়। নিজে অফসাইডে না থাকলেও সতীর্থের ভুলের খেসারত দিতে হয় ভিনিসিয়ুসকে।
অবশেষে ম্যাচের ৮৩ মিনিরটে গোল করলো ব্রাজিল। বাম প্রান্ত ধরে ভিনিসিয়ুস-রদ্রিগো যুগলবন্দিতে বক্সের মধ্যে বল পান ক্যাসেমিরো। ডান পায়ে জোরালো শট মারেন তিনি। সুইজারল্যান্ডের ডিফেন্ডারের শরীরে লেগে সেই বল জালে জড়িয়ে যায়। কিছু করার ছিল না গোলরক্ষক সোমারের।
বাকি সময় আরও কয়েকটি আক্রমণ চালায় ব্রাজিল। গোলের দেখা না পাওয়ায় এক গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেলেসাওরা।