বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরুর দুইদিন আগে আয়োজন নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছিলেন সাকিব আল হাসান। বিসিবির সদিচ্ছার অভাব, পরিকল্পনার ঘাটতি, বাণিজ্যিকভাবে লাভবান না হওয়া বিসিবির সাংগঠনিক ব্যর্থতা বলে মনে করেন তিনি। শুধু সমালোচনাই করেননি, বিপিএলের দায়িত্ব পেলে সর্বোচ্চ দুই মাসেই বিপিএলের নকশা পাল্টে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন।
সাকিবের এ সমালোচনার পর বিপিএল নিয়ে মোটামুটি আলোচনা শুরু হয়েছিল। এর আগ পর্যন্ত বিপিএল এগিয়েছিল কচ্ছপ গতিতে। সাকিবের এ সমালোচনা বিসিবির কাছে নেগেটিভ পাবলিসিটি মনে হয়েছে। আলোচনা যেমনই হোক বিসিবি তা গ্রহণ করেছে দুহাত ভরে। সঙ্গে সাকিবকে সিইও হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে বিপিএলের আয়োজক ‘বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল’।
সাকিবকে সিইও হতে চাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ সোহেল জানিয়েছে, চাইলে সামনের মৌসুম থেকে বিপিএলের সিইও হতে পারেন সাকিব।
শেখ সোহেল বলেন, ‘আমি সাকিবকে ধন্যবাদ জানাই। সে বিপিএলের সিইও হিসেবে আসতে চায়, যেটা সে তার দৃষ্টি থেকে বলেছে। আমরা গভর্নিং বডি থেকে তাকে আসার জন্য ওয়েলকাম জানাই। সে সামনের বছর থেকে এসে সিইওর দায়িত্ব পালন করুক।
আমাদেরকে বিপিএল পরিচালনা করতে সাহায্য করুক। আমরা ওকে এখন থেকেই স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। এখন যেহেতু সে খেলছে, আমরা তাকে প্লেয়ার হিসেবেই দেখতে হবে। এখন তো সে খেলা ছেড়ে আসতে পারবে না। সে সামনের বছর চলে আসুক।’
এখন দেখার বিষয়, সাকিব ক্রিকেট খেলা ছেড়ে সামনের বছর বিপিএলের সিইওর দায়িত্ব নেন কি না।