কলেজ বার্তা

সাম্প্রদায়িক উসকানি ছিল না ‘কুমিল্লা বোর্ডের সেই প্রশ্নপত্রে’

মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে গতকাল রবিবার (৬ নভেম্বর) বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই পত্রের কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ‘সাম্প্রদায়িক উসকানি’ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এ ঘটনার নিয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ জন্য তারা কুমিল্লা বোর্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে বলেছেন।

কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ফেসবুকে বেশ সমালোচনা শুরু হয়। আর সেখানে ওই প্রশ্নপত্রের ছবিও দেওয়া হয়।

সেখানে ১১ নম্বর প্রশ্নে (বাংলা প্রথম পত্র সৃজনশীল) নাটক সিরাজউদ্দৌলা অংশে অনুচ্ছেদে ধর্মকে সামনাসামনি করে উদ্দীপকে বলা হয়, ‘নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিশ-বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামে এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে। আব্দুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙ্গে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে।

আজ সোমবার (০৭ নভেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নে সাম্প্রদায়িকতার উসকানি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ঘটনাটি আমি অবগত। এটা খুবই দুঃখজনক। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে কোন পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কোন কিছু থাকবে এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন সেটিং বা প্রশ্ন মডারেটিং এমনভাবে হয় যে, যিনি প্রশ্ন সেট করে যান তিনি আর সেটি দেখতে পারেন না। যিনি মডারেট করে যান তিনিও আর পুনরায় তা দেখতে পারেন না। কী কী বিষয় মাথায় রেখে প্রশ্নগুলো তারা করবেন- এ বিষয়ে আমাদের সুস্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া থাকে।

তিনি বলেন, প্রশ্নে যেন কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িকতা না থাকে সেটিও নির্দেশনা দেওয়া আছে। তবে খুবই দুঃখজনক কোনো একজন প্রশ্নকর্তা হয়ত এই প্রশ্নটি করেছেন। এমনকি যিনি মডারেট করেছেন, তার দৃষ্টি থেকেও হয়তো কোনোভাবে বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। অথবা তিনি স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন। আমরা চিহ্নিত করছি এ প্রশ্নটি কোন সেটার এবং মডারেটর করেছেন। একইসঙ্গে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *