স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

শীতকালে নিউমোনিয়া থেকে রক্ষা পাবেন যেভাবে

ঠাণ্ডা লাগলেই নাক দিয়ে জল পড়া, সর্দি বসে যাওয়া, কফ বসে যাওয়া নানা সমস্যা লেগেই থাকে। কোভিড পরবর্তী সময়ে আরও বেশি বেড়েছে এই সমস্যা। কোভিডে প্রাথমিক প্রভাব পড়েছিল ফুসফুসেই। আর যাঁদের একবার কোভিড হয়েছে তাঁদের ফুসফুস অন্যদের তুলনায় কিছুটা দুর্বল। এছাড়াও অনেকের শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকে। যার ফলে ফুসফুসে শ্লেষ্মা বা কফ জমে যাওয়া আর সেখাব থেকে দেখা দেয় নিউমোনিয়া

নিউমোনিয়া হলে করণীয়

শ্বাসকষ্ট বাড়ছে বুঝতে পারলে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। এর পরে চার-পাঁচ দিনেও রোগী চিকিৎসায় না সাড়া দিলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। নিউমোনিয়া হলে রোগীকে পরিমিত গরম পানহ খাওয়ানো উচিত। পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন নিউমোনিয়া রোগীর জন্য খারাপ। সময়মতো চিকিৎসা শুরু হলে জটিলতা বাড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে।

বাচ্চাদের নিউমোনিয়া হলে করণীয়

যে সমস্ত বাচ্চারা এখনও কথা বলতে শেখেনি অথবা অল্প কথা বলতে পারলেও নিজের সমস্যার কথা বুঝিয়ে বলতে পারে না, তাঁদের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই নজরে রাখা উচিত। যেমন, ঠান্ডা লাগলেও বাচ্চাটি স্বাভাবিক রয়েছে কি না, অর্থাৎ, দুর্বল হয়ে পড়ছে কি না, ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করছে কি না, অতিরিক্ত ঘ্যানঘ্যান করছে কি না, সাধারণ ভাবে খেলাধুলো করছে কি না এবং সর্বোপরি তার শরীরে নিউমোনিয়ার উপসর্গ দেখা দিচ্ছে কি না, তা নজর করতে হবে।

বয়স্কদের নিউমোনিয়া হলে করণীয়

একই ভাবে বয়স্ক ব্যক্তিদেরও ঠান্ডা লাগানো চলবে না। শরীর সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। উপসর্গের দেখা দিলেই দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। এ ছাড়া, কেউ যদি অপুষ্টিতে ভোগেন, কিংবা যদি কোনও ব্যক্তির আগে থেকেই ফুসফুসে কোনও সমস্যা থেকে থাকে, তাঁদের আরও বেশি সাবধানে থাকা দরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *