রাজ-পরী, শুক্রবার (১৮ আগস্ট) মধ্যরাতে শুরু হওয়া নতুন গল্পটা আঁধার না পেরুতেই আলোতে আসে। ভোর হতেই গণমাধ্যমে সংবাদ চাউর- মারাত্মক জখম হয়েছেন রাজ। তার মাথা ফেটেছে। পাওয়া গেছে রক্তাক্ত ছবিও। অন্যদিকে পরীও মধ্যরাতে জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে।
টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হওয়া বিষয়টিকে নিয়ে ক্রমশ বাড়তে থাকে ধোঁয়াশা। যদিও হাসপাতাল থেকে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন অভিনেতা শরিফুল রাজ, কিন্তু একটা প্রশ্নে আটকে আছেন তাদের ভক্তরা- আদৌও ঘটনাটা কী?
পরীমণিকে চিকিৎসা দেওয়া রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ার সূত্রে জানা গেছে, জ্বর নয়, কাটা হাত নিয়ে হাসপাতালে যান পরীমণি। হাসপাতালের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় কাটা হাতের চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে আসেন পরী। সেলাই না লাগলেও ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করাতে হয়েছে।
অন্যদিকে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত ছিলেন রাজ। তাঁর মাথায় চারটি সেলাই লেগেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরীমণি ও রাজ বাসায় চলে যান। তবে এক বাসায় নয়, আলাদা আলাদা বাসায় উঠেছেন তাঁরা। কীভাবে তাঁরা আহত হয়েছিলেন, এ বিষয়ে জানতে রাজ ও পরীমণির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, বুধবারের সমঝোতার পর থেকে পরীমণির বাসায়ই থাকছিলেন রাজ।
এক দিন না কাটতেই বৃহস্পতিবার রাতে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া শুরু করেন তাঁরা। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে শুক্রবার পরীর বাসায় যান রাজ-পরীর ঘনিষ্ঠ নির্মাতা রায়হান রাফী ও চিত্রনায়িকা তমা মির্জা। তাঁদের সামনেই মারামারিতে জড়ান রাজ-পরী। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন রাজ, পরীর হাত কেটে যায়। তাঁদের ঠেকাতে গিয়ে অভিনেত্রী তমা মির্জাও আহত হন। একটি সূত্র বলছে, ঘটনাটি ঘটেছে পরীমণির বাসায়। আরেকটি সূত্রের দাবি, রায়হান রাফীর নিকেতনের অফিসে এ ঘটনা ঘটেছে।