বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সর্বশেষ

যেভাবে কাজে লাগবে মেট্রোরেলের র‍্যাপিড পাস

দেশের প্রথম মেট্রোরেল আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ পর্যন্ত চালু হলো মেট্রোরেল। মেট্রোরেলে ভ্রমণের ক্ষেত্রে দেওয়া হবে দুই ধরনের কার্ড বা টিকিট। একক যাত্রা কার্ড ও স্থায়ী কার্ড নিয়ে সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা। একক যাত্রা কার্ড নেয়া যাবে প্রতিটি ভ্রমণের সময় টিকিট কাউন্টার থেকে এবং পাশাপাশি টিকিট বিক্রয় মেশিন থেকে নেওয়া যাবে এ কার্ড। এছাড়াও মেট্রোরেলে চলাচলের জন্য বারবার কার্ড নেওয়ার ঝামেলা এড়াতে পারবেন এমআরটি পাস বা র‌্যাপিড পাস নিয়ে।

ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ওয়েবসাইট থেকে অথবা টিকিট কাউন্টার থেকে একটি ফরম পূরণ করার মাধ্যমে খুবই সহজই এ পাস নিতে পারবেন যাত্রীরা। ফরম পূরণ করার সময় দিতে হবে নাম, বাব-মায়ের নামসহ সাধারণ কিছু তথ্য। ফরম পূরণ করার পর মেট্রোরেলের যেকোনও একটি স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে গিয়ে কার্ড মূল্য ও জামানত বাবদ দুইশ’ করে মোট চারশ’ টাকা জমা দিতে হবে। এরপরই মিলবে এমআরটি পাস বা র‌্যাপিড পাস। তবে একটি র‌্যাপিড পাস শুধু একজন ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারবেন।

ডিএমটিসিএলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একটি র‌্যাপিড পাস কার্ডের মেয়াদ থাকবে ১০ বছর পর্যন্ত। আর এতে রিচার্জ করা যাবে সর্বনিম্ন ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এমআরটি পাস বা র‌্যাপিড পাস কার্ডে রিচার্জ করা যাবে রিচার্জ টিকিট ও টিকিট বিক্রয় মেশিন থেকে। যাত্রীরা নিজেরাই রিচার্জ করতে পারবেন টিকিট বিক্রয় মেশিনের থেকে টপআপ অপশন থেকে। আর তা করতে না পারলে সহায়তা করবে টিকিট কাউন্টার থাকা কর্মীরা।

ডিএমটিসিএলের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, এমআরটি পাস বা র‌্যাপিড পাস কার্ডে আগামী ছয় মাস পর বিকাশ, ইউপেসহ বিভিন্ন মাধ্যমে রিচার্জ করতে পারবেন যাত্রীরা। সেজন্য কাজ করা হচ্ছে একটি অ্যাপ তৈরিরও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *