কাতার বিশ্বকাপের আগে আর্জেন্টিনা সর্বশেষ বিশ্বজয়ের স্বাদ পেয়েছিল ১৯৮৬ সালে। মেক্সিকোয় অনুষ্ঠেয় সেই আসরে ডিয়েগো ম্যারাডোনার নেতৃত্বে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছিল ল্যাটিন আমেরিকান পরাশক্তিরা। প্রয়াত আর্জেন্টিাইন কিংবদন্তির সঙ্গে মেসির তুলনাটা দীর্ঘদিনের।
ব্যক্তিগত আর দলীয় অর্জনে ম্যারাডোনার চেয়ে আগেই যোজন যোজন ব্যবধানে এগিয়ে মেসি। আলোক ঝলমলে দেড় যুগের ক্যারিয়ারে লিওনেল মেসির একমাত্র অপূর্ণতা ছিল ফিফা বিশ্বকাপ। কাতার বিশ্বকাপে সেই অপ্রাপ্তিও ঘুচে গেছে।
আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে ম্যারাডোনাকে ছাড়িয়ে গেছেন বলে মনে করছেন অনেকে। সেই দলে আছেন লিওনেল স্কালোনিও। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচের ভাষ্যমতে, ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দিয়ে সর্বকালের সেরার লড়াইয়ে ম্যারাডোনাকে ছাড়িয়ে গেছেন মেসি।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) স্প্যানিশ রেডিও স্টেশন কোপকে লিওনেল স্কালোনি বলেন, “আমাকে যদি একজনকে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি লিওকে বেছে নেব। তার সঙ্গে আমার সম্পর্কটা বিশেষ কিছু। সে সর্বকালের সেরা, তবে ম্যারাডোনাও দুর্দান্ত ছিলেন।”
রাশিয়ায় অনুষ্ঠেয় ২০১৮ বিশ্বকাপের পর আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে দায়িত্ব পান লিওনেল স্কালোনি। অধিনায়ক মেসি আবার তখন হতাশাজনক বিশ্বকাপ অভিযান শেষে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিরতিতে। জাতীয় দলের কোচের পদে এসেই মেসির সঙ্গে তার কী আলোচনা হয়েছিল, সেটিও জানালেন স্কালোনি।
তিনি বলেন, “আমরা সর্বপ্রথম যা করেছিলাম, তা হলো মেসির সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেছিলাম। আমরা তাকে প্রথমেই যা বলেছিলাম, তা হলো, ‘ফিরে এসো, আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করব।’ আমরা ঠিক তাই করি এবং আট মাস পর দলে ফিরে সে দারুণ একটা গ্রুপ পায়।”
আর্জেন্টিনার কোচ আরও বলেন, “মেসিকে কোচিং করানো কোনো কঠিন বিষয় না। কারিগরি দিক থেকে আপনি তার ভুল ধরতে পারবেন না। তবে কখনও কখনও তাকে কোনো নির্দিষ্ট উপায়ে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে বা আক্রমণ করতে নির্দেশনা দিতে পারেন।”