সৌদি আরবের সাথে প্রথম ম্যাচে হেরে খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা।খেলোয়াড়দের মনোবলও গিয়েছিল ভেঙে। তাই আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপে টিকিয়ে রাখতে হলে তাঁকেই কিছু একটা করতে হবে, এটা নিশ্চয়ই লিওনেল মেসি জানতেন। মেসি করলেনও। মেক্সিকোর জমাট বাঁধা রক্ষণ যখন কোন ভাবেই ভাঙ্গা সম্ভব হচ্ছিল না তখন ডি বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে গোল করে দলকে লিড এনে দেন মেসি, আর তারপরেই খেলার গতি পাল্টে যায় আর্জেন্টিনার। পরে ম্যাচের শেষদিকে তাঁর পাস থেকেই দারুণ আরও একটা গোল করলেন এনজো ফার্নান্দেসও।
প্রথমার্ধের এলোমেলো খেলে গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে আর্জেন্টিনা। গোল পাচ্ছিল না আর্জেন্টিনা। এরপরেই যেন ঈশ্বর প্রদত্ত ত্রাতা হয়ে আবির্ভাব হয় মেসির। বা পায়ের জাদুকরী ছোয়ায় আর্জেন্টিনাকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন তিনি।
ম্যাচের ৮৭ মিনিট। বক্সের ডান দিকে মেসির পাস। বল রিসিভ করে দুজন ডিফেন্ডারকে পায়ের দোলায় কাটিয়ে গোলের কোণ দিয়ে দিয়ে বল জালে জড়ালেন তরুণ মিডফিল্ডার এনসো ফের্নান্দেজ। ২-০ গোলে এগিয়ে ম্যাচ কার্যত মেসিদের পকেটে চলে যায় তখনই।
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে ২১ ম্যাচে ৮ গোল করলেন মেসি। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তী ডিয়েগো ম্যারাডোনাও ২১ ম্যাচে করেছেন ৮ গোল।