বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ হেরে মান বাঁচানোর ম্যাচে কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। ৪০৯ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য ছুড়ে দিয়ে ২২৭ রানের বিশাল জয় দিয়ে সিরিজের ইতি টানলেন কোহলিরা। সেই সঙ্গে ‘বাংলাওয়াশ’ ভয় থেকেও বেঁচে গেল টিম ইন্ডিয়া।
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে ভারতের করা ৪১০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার আগে এমনিতেই হেরে বসেছিলো যেন বাংলাদেশ। তবুও বড় রান তাড়া করতে নেমে ব্যাটারদের কাছ থেকে যে দায়িত্বশীল ব্যাটিং আশা করেছিলো সবাই, তার ছিটেফোটাও দেখা গেলো না।
চট্টগ্রামের ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে শুরুটা খারাপ ছিল না দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও লিটন দাসের। ৪ ওভারে ৩৩ রান যোগ করেন তারা। পঞ্চম ওভারে আক্রমণে এসেই ওপেনিং জুটি ভেঙে দেন অক্ষর প্যাটেল। এনামুল ক্যাচ দিয়ে ৮ রানে ফিরেছেন।
সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক লিটনের ইনিংসটাও বেশি দূর যায়নি। দলীয় ৪৭ রানে সিরাজের বলে লিটন ক্যাচ তুলে ২৯ রানে ফিরেছেন। এমন সময় বাড়তি প্রত্যাশা ছিল মুশফিকের ওপর। কিন্তু টানা ব্যর্থ এই ব্যাটার তৃতীয় ম্যাচেও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। চাপ কমানোর বদলে উল্টো দলকে বিপদেই ফেলে গেছেন। অক্ষরের বলে ৭ রানে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি।
তখন মাঠে পরিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন সাকিব-ইয়াসির জুটি। ম্যাচের ১৯তম ওভারে সাকিবের সঙ্গ ছাড়েন রাব্বি। মালিকের বলে ২৫ রান করে ফিরেন তিনি।
মাহমুদুল্লাহ-সাকিব জুটি দলীয় শতক পার করে। তবে নিজের অর্ধশতক থেকে ৭ রান দূরে থাকতেই কুলদীপের জালে ধরা পরেন সাকিব। দলের আশা নিভিয়ে ৪৩ রানে আউট হন সাকিব।
এরপর আর কোন ব্যাটসম্যানই থিতু হতে পারে নি।ইয়াসির আলী রাব্বি ২৫ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আউট হন ২০ রান করে। শেষ দিকে তাসকিন আর মোস্তাফিজের দৃঢ়তা পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমিয়েছিলো শুধু। তাসকিন অপরাজিত থাকেন ১৭ রানে। ২টি ছক্কা মারেন তিনি। ১৩ রান করে আউট হন মোস্তাফিজ।
শেষ ওয়ানডেতে ম্যাচটি ২২৭ রানে হারে বাংলাদেশ। যার ফলে ভারতকে বাংলাওয়াশ করার স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে গেলো।