দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়েছে আগেই। তারওপর ইনজুরি, বেশ কয়েকজন ফ্লু জ্বরে আক্রান্ত। এ কারণে কোচ তিতে ক্যামেরুনের বিপক্ষে পুরো পরিবর্তিত একাদশ মাঠে নামান। ফ্রেড ও মিলিতাও ছাড়া শেষ ম্যাচের একাদশের সবাইকে বদলে ফেলেন তিতে। ২০০২ ফাইনালের পর এটাই ব্রাজিলের সবচেয়ে তরুণ দল, যাদের নেতৃত্বে ৩৯ বছর বয়সী দানি আলভেস।
মাঠে একের পর এক সুযোগও তৈরি করেছেন জেসুস, অ্যান্টনি, মার্টিনেল্লিরা। যদিও শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পায়নি তারা। উল্টো ইনজুরি টাইমে গোল খেয়ে বসে ব্রাজিল। ০-১ গোলে হেরে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে তিতের শিষ্যরা। ক্যামেরুন-ই প্রথম আফ্রিকান দল যারা বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে হারিয়েছে। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেছেন ভিনসেন্ট আবু বকর। শেষ ম্যাচ জিতলেও টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে ক্যামেরুন।
ম্যাচের শুরু থেকে লেফট উইংয়ে খেলেছেন মার্টিনেল্লি। অসংখ্য বল পেয়েছেন। অসংখ্য সুযোগ তৈরি করেছেন। অসংখ্যবার পোস্টে শট নিয়েছেন। কিন্তু শট নিতে গেলেই যেন মনে হচ্ছে তাতে কোনো ধার নেই। দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রেডের পরিবর্তে মাঠে নামা ব্রুনো গুইমারেস যেন গোল মিসের মহড়া দিমে নেমেছিলো। এতগুলো সহজ সুযোগ তিনি পেয়েছিলেন! অথচ, সবগুলোই মেরেছেন পোস্টের ওপর দিয়ে।
১৪তম মিনিটেই মার্টিনেল্লি দুর্দান্ত এক হেড নেন; কিন্তু ক্যামেরুন গোলরক্ষক ডেভিস পাসি কোনোমতে পাঞ্চ করে কর্নারের বিনিময়ে গোল রক্ষা করেন।
৩৭তম মিনিটে ফ্রেডের কাছ থেকে বল পেয়ে ডান পাশ থেকে অসাধারণ এক শট নিয়েছিলেন অ্যান্টোনি; কিন্তু বল চলে যায় সোজা ক্যামেরুন গোলরক্ষকের কাছে।
প্রথমার্ধের স্টপেজ টাইমে (৪৫+১ মিনিটে) মার্টিনেল্লির অসাধারণ শট কর্নারের বিনিময়ে কোনোমতে রক্ষা করেন ক্যামেরুন গোলরক্ষক।
একই সময়ে কর্নার কিক থেকে ভেসে আসা বলেও গোলের সুযোগ পেয়েছিলো ব্রাজিল। কিন্তু রদ্রিগো শটটি বাইরে মেরে দেন।
৪৫+৩ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলো ক্যামেরুন। ২০ নম্বর জার্সিধারি ব্রায়ান এমবেউমোর অসাধারণ হেড নিশ্চিত প্রবেশ করতো ব্রাজিলের জালে; কিন্তু ক্যামেরুনের দুর্ভাগ্য। গোলরক্ষক এডারসন অসাধারণ দক্ষতায় শেষ মুহূর্তে পাঞ্চ করে বলটিকে গোলে প্রবেশ করা থেকে বাঁচান।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে (৯৩ মিনিটে) হেডে গোল করে বসেন আবু বকর। জার্সি খুলে সেলিব্রেট করতে গিয়ে দ্বিতীয় হলুদকার্ড দেখেন আবু বকর। লালকার্ড হয়ে যাওয়ায় মাঠের বাইরে বের হয়ে যেতে হয় তাকে। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ক্যামেরুন। যদিও অপর ম্যাচে সুইজারল্যান্ড জিতে যাওয়ায় গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যায় তারা।