লাইফস্টাইল সর্বশেষ

বৃষ্টিস্নাত আবহাওয়া পরিবর্তনের এই মৌসুমে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

আজ সকাল থেকেই বৃষ্টি। তার ওপর শেষ দু’তিন দিনে শীতটাও পড়েছে বেশ জাঁকিয়ে। বৃষ্টি পড়ে আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেলেই আর বাঁধ মানবে না ঠান্ডা। সকাল থেকেই ঘুম ঘুম ভাব। গা ম্যাজ ম্যাজ। জেনে নিন এমন দিনে কী ভাবে সুস্থা থাকবেন।

১/ গোসল

যদি এ দিন গোসল করতে ইচ্ছা না করে তাহলে নিজেকে জোর করবেন না। ঠান্ডার মধ্যে বৃষ্টিতে গোসল করলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। যদি গোসল করেন তবে অবশ্যই কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। তবে মাথায় বেশি পানি না না দিলেই ভাল। ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে, বা লম্বা চুল থাকলে মাথা ভেজানো একেবারেই এড়িয়ে চলুন।

২। পোশাক-

এ রকম দিনে ঠান্ডা হাওয়া দেয়। বৃষ্টি পড়ে আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেলেই শীত বাড়তে থাকে। তাই অবশ্যই ভাল করে গরম জামা-কাপড় পরে বেরোন। রিক্সা বা বাসে জানলার ধারে বসলে মাথা, গলা ভাল করে ঢেকে বসুন। এই হাওয়ায় কিন্তু ঠান্ডা লেগে যায়। ভাইরাসের সংক্রমণ হয় শরীরে।

৩। বৃষ্টি ভেজা-

বৃষ্টি না থামা পর্যন্ত বাড়ি থেকে বেরোবেন না। যদি মাঝ রাস্তায় বৃষ্টি নামে তাহলে শেডের তলায় গিয়ে দাঁড়িয়ে যান। হাজার ব্যস্ততা থাকলেও বৃষ্টিতে ভিজবেন না। শরীর বাঁচানো গেলেও রাস্তায় জমা পানিতে পা ভিজে যায়। গন্তব্যে পৌঁছেই পা ভাল করে মুছে নিন। সুযোগ থাকলে হালকা গরম জলে ধুয়ে নিন। যদি বৃষ্টির মধ্যে একান্তই বাড়ি থেকে বেরোতে হয় তবে ব্যাগে জামা, তোয়ালে অবশ্যই রাখুন।

৪। জুতো-

এ রকম দিনে অবশ্যই পা ঢাকা জুতো পরবেন। এতে ঠান্ডায় যেমন আরাম পাবেন, তেমনই সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা পাবেন। বৃষ্টির পানি পায়ে লাগলে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। মোজা পরতে পারলে পা সুরক্ষিত থাকবে। তবে যদি জমা জলে একান্তই হাঁটতে হয় মোজ অবশ্যই খুলে নেবেন। ভেজা মোজা পায়ে থাকলে শরীর খারাপ হবে।

৫। হাত-

সংক্রমণ দূরে রাখার প্রাথমিক শর্ত হাত পরিষ্কার রাখা। এই সব দিনে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ বাড়ে। হাত থেকে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়ায়। তাই হাত সব সময় পরিষ্কার রাখুন। ব্যাগে লিকুইড সোপ, টিস্যু, স্যানিটাইজার রাখবেন।

৬। মুখ-

এই সব দিনে অবশ্যই সঙ্গে রুমাল রাখুন। মুখ, চোখ, নাকের মাধ্যমে ফ্লু ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে। তাই যতটা সম্ভব মুখে হাত দেওয়া এড়িয়ে চলুন। হাঁচি হলে, চোখ কটকট করলে রুমাল ব্যবহার করুন।

৭। স্ট্রিট ফুড-

সংক্রমণের আখড়া কিন্তু স্ট্রিট ফুড। শীত, বৃষ্টিতে ঘুম ঘুম পায়, মুড অফ লাগে, অবসাদ আসে। এমন সময় মনের মতো যা খুশি চটপটা খেতে ইচ্ছা করে। তবে ইচ্ছাই হলেই খেয়ে ফেলবেন না। বিশেষ করে ভাজাভুজি, তেলযুক্ত খাবার একেবারেই খাবেন না। বাড়ি থেকে লাঞ্চ প্যাক করে নিয়ে বের হবেন। বাইরের পানি, খাবার থেকে পেট খারাপ, জ্বরের সম্ভাবনা কিন্তু প্রবল।

৮। হার্বাল ডোজ-

এমন দিনে সব থেকে ভাল হার্বাল চা। এ ছাড়াও লবঙ্গ, দারচিনি, তুলসি, গোলমরিচ, আদা খান। শরীর ভাল থাকবে। এনার্জিও বাড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *