শ্রেয়াস আইয়ার ব্যক্তিগত ৮৬ রানে আউট হওয়ার পর রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও কুলদীপ যাদব হাল ধরেছিলেন। তাদের জুটি একশ ছাড়ানোর পথে ছিল। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরির পর ইনিংস লম্বা করতে পারেননি অশ্বিন। ১১৩ বলে ৫৮ রানে মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হন তিনি স্টাম্পিং হয়ে। ভাঙে ৯২ রানের জুটি। পরের দুই ওভারে তাইজুল ইসলাম থামান কুলদীপকে (৪০), ৪ রানে মিরাজের শিকার হন মোহাম্মদ সিরাজ।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন উইকেট হারানোর পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি ভারত। তাদের শেষ ৩ উইকেট বাংলাদেশ তুলে নিয়েছে ১৯ রানের ব্যবধানে। ৪০৪ রানে প্রথম ইনিংস শেষ সফরকারীদের।
বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে শ্রেয়াস আইয়ারকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেন পেসার এবাদত। তখন মনে হচ্ছিল ভারতকে সাড়ে তিনশো রানেই বুঝি বেঁধে ফেলা যাবে। কিন্তু অষ্টম উইকেটে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও কুলদীপ যাদবের প্রতিরোধ সেই সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিয়েছে। ২০০ বল খেলে এই দুই ব্যাটার ৯২ রানের জুটি গড়েছেন (পেনাল্টি হিসেবে ৫ রান যোগ হয়েছে)। লাঞ্চ থেকে ফেরার পর তো তারা দ্রুত রান তুলতে মরিয়া হয়ে উঠে। সেটি করতে গিয়েই স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়েছেন অশ্বিন। ১১৩ বলে ৫৮ রান করা ব্যাটারকে বিদায় দিয়েই শেষ দিকের প্রতিরোধ ভাঙতে সফল হয়েছে স্বাগতিক দল।
অশ্বিন আউট হওয়ার পর অবশ্য কুলদ্বীপও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। পরের ওভারেই তাইজুল এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তাকে (৪০)। ১৩৩.৫ ওভারে ভারত অলআউট হয় ৪০৪ রানে।
সর্বোচ্চ চারটি করে উইকেট নেন তাইজুল ও মিরাজ।