লক্ষ্য যদি হয় স্থির আর সাথে যদি থাকে অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও ইস্পাত দৃঢ় মনোবল তাহলে মানুষ পর্বতসম বাধা বিপত্তি ডিঙিয়ে পৌছে যেতে পারে সাফল্যের শৃঙ্গে, জয় করতে পারে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত কিছু। এরকম হার না মানার মানসিকতার অজস্র উদাহরণ রয়েছে ইতিহাসের পরতে পরতে। প্রত্যেক যুগে, প্রত্যেক কালে মানুষ সৃষ্টি করেছে এধরনের ইতিহাসের। আর সেইসব ঘটনা থেকে প্রেরণা নিয়ে জীবনযুদ্ধে আজো লড়ছে হাজারো লড়াকু সৈনিক। আর তারই এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত হলো ফিলিপাইনের ছোট্ট মেয়ে রেহা।
ভারতের পাহাড়ী প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেড়ে উঠা ১১ বছরের ছোট্ট মেয়ে রেহা বালোস। স্থানীয় একটি স্কুলের আন্ত ক্রীড়া প্রতিযোগীতার দৌড়ে অংশগ্রহন করে রেহা। কিন্তুু প্রতিযোগীতায় জন্য দরকারি বুটজোড়াই নেই তার কাছে। থাকবেই বা কীভাবে অভাবের সংসারে ভরনপোষণ যোগানোই যেখানে দায়,সেখানে শুধুমাত্র দৌড়ানোর জন্য একজোড়া বুট কিনা বিলাসিতা।
বাকী প্রতিযোগীরা যখন বুট পড়ে তার সামনে ট্র্যাকে নামছিল তখন হয়তো আক্ষেপই হচ্ছিল তার, প্রতিযোগীতা শুরর আগেই যেন সবার চেয়ে পিছিয়ে পড়ছিলেন রেহা বালোস, কিন্তু তা তো হবার নয়। সবাই যেখানে পায়ে বুট পড়েছিল সেখানে রেহা পায়ে পেচালেন টেপ। আর তাতে আঁকলেন নাইকির লোগো। সেইসাথে আক্ষেপকে জিদে রপান্তর করে জয়ী হওয়ার দৃঢ় মানসিকতা নিয়ে দৌড় প্রতিযোগীতার ট্র্যাকে নামলেন এই লড়াকু ছোট্ট কিশোরী।
ভাগ্য বিধাতাও যেন তার ইচ্ছাশক্তির সাথে পেরে উঠলেন না, তাইতো অন্যান্য সব প্রতিযোগীদের হারিয়ে ৪০০,৮০০,১৫০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগীতার তিনটিতেই প্রথম অধিকার ছিনিয়ে আনেন রেহা বালোস সেইসাথে আরো একবার প্রমান করলেন যতই প্রতিকূলতা আসুক না কেন লেগে থাকার মানসিকতা থাকলে বিজয় একদিন সুনিশ্চিত। রেহা বালোস যেন একটুকরো আলোর ঝিলিক হতাশার অন্ধকারে ডুবে যাওয়া সৈনিকদের।