নতুন শিক্ষাক্রমে বদলে যাওয়া নিয়মে পরীক্ষার পরিবর্তে নেওয়া হচ্ছে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন। প্রথম দিনে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে চারটি বিষয়ের মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্কুলে স্কুলে শিক্ষার্থীদের বেশ উৎসবমুখর পরিবেশে এতে অংশ নিতে দেখা যায়। তবে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই আগের রাতে এ মূল্যায়নের নির্দেশিকা বা প্রশ্নপত্র হাতে পেয়েছে। প্রশ্নপত্রের আলোকে সমাধানও (কীভাবে কাজ করতে হবে) বাসায় বসেই শিখেছে শিক্ষার্থীরা। স্কুলে গিয়ে শুধু সেগুলো করে দিয়ে এসেছে তারা।
শিক্ষাবিদ ও শিক্ষকরা বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রমের যে উদ্দেশ্য, তা এ ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নে প্রতিফলিত হয়নি। আগেই কী কাজ করতে হবে, তা শিক্ষার্থী জেনে সেটা আত্মস্থ করে স্কুলে এসেছে। এটা পরীক্ষায় অনেকটা নকল করার মতোই।
জানা গেছে, প্রথম দিনে ষষ্ঠ শ্রেণিতে বাংলা, সপ্তমে ধর্ম, অষ্টমে জীবন ও জীবিকা এবং নবম শ্রেণিতে ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ মূল্যায়নের জন্য যে প্রশ্নপত্র বা নির্দেশিকা শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে, তা পরীক্ষার তিন ঘণ্টা আগে শিক্ষকদের ডাউনলোড করার কথা ছিল।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ষাণ্মাসিক মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র একদিন আগেই শিক্ষকরা হাতে পেয়েছেন। তারা সেই প্রশ্নপত্র ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করেছেন, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশ্নপত্র পেয়ে যাওয়ায় অনেক প্রাইভেট ও টিউশন শিক্ষক আগের দিনই তার সমাধান করে ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে মূল্যায়নে বসার আগের রাতে কী কাজ করতে হবে, তা শিক্ষার্থীরা আত্মস্থ করে এসেছে।
ফেসবুকে শিক্ষকদের বিভিন্ন গ্রুপ, শিক্ষাবিষয়ক পেজ, শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠনের নামে চালানো ফেসবুক পেজে একাধিক ব্যক্তিকে প্রশ্নপত্র শেয়ার করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে ছড়িয়ে পড়া প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে তা নিয়ে ভিডিও তৈরি করেছেন অনেক কোচিং সেন্টারের শিক্ষকরা। অনেকে ইউটিউবে শিক্ষাবিষয়ক চ্যানেলে এ প্রশ্নের সমাধান প্রক্রিয়া কী হবে, তা আলোচনা করে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
সূত্র : জাগোনিউজ২৪.কম