সম্পাদকীয় সর্বশেষ

ড্যাফোডিল থেকে লিডবার্গ এডুকেশনের সেরা কাউন্সিলর রাইসুল ইসলাম

সাধারণত শিক্ষাজীবন পেরোনোর পর সকল শিক্ষার্থীই চায় ৯-৫ টা অফিস ডেস্ক জব করতে। সপ্তাহে ৫ দিন অফিসে বিভিন্ন ফাইলের ভুল ধরবে আর শুক্র-শনি দুপুরে আয়েস করে খেয়ে বিকালে ঘুরতে বেড়োবে। কিন্তু আজ একাডেমিক ডায়েরিতে আমরা যেই মানুষটিকে আপনাদের সামনে তুলে ধরব, সে কিন্তু এর ব্যাতিক্রম। অবশ্য ভ্রমণপিপাসু মানুষটার ঘুরে বেড়ানোর শখ যেমন রয়েছে তেমনি নিজের কাজের প্রতি শখ তারচেয়েও ঢের বেশি। তিনি হলেন দেশসেরা স্টুডেন্ট এজেন্সী লিডবার্গ এডুকেশনের সিনিয়র স্টুডেন্ট কাউন্সিলর জনাব রাইসুল ইসলাম।

জন্ম, ছেলেবেলা, বেড়ে উঠা পদ্মা নদীর পাড়ের কুষ্টিয়া জেলাতে। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক গন্ডি পেরিয়ে নিজের মধ্যে নতুন অভিজ্ঞতার সঞ্চার করতে চলে আসেন ঢাকায়। সেখানে এসে তিনি ভর্তি হোন ঐসময়ের তরুনদের ক্রেজ ও দামী সাবজেক্ট বি.বি.এ তে। ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ক্লাসরুমে নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন বড় কর্পোরেট অফিসার হওয়ার। কিন্তু, একদিন পারিবারিক এক আয়োজনে তিনি দেখেন তার এক আত্মীয় পড়াশুনার জন্য বিদেশ যেতে চাচ্ছে, কিন্তু বারবার নানারকম সমস্যায় তা হয়ে উঠছেনা,টেনশনে সেই আত্মীয়ের কপালে পাঁচটা ভাজ পড়েছে। তখন তার মনে হলো, আরে! পড়াশুনার জন্য বিদেশ-ই তো যেতে চাচ্ছে চাদেঁ তো নয়। তাহলে এত মাথার চুল ছেড়ার কি হলো!

তারপর সেই আত্মীয়কে সাহায্য করতেই তার বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে জানাশোনা শুরু। এভাবে দেখলেন শুধু মাত্র একজন নয় এরকম হাজারো শিক্ষার্থী এই সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাই তাদের সাহায্য করতে যেয়েই অগত্যা তার এ পথে চলা শুরু।

গ্র্যাজুয়েশন শেষে তিনি পুরোদস্তুর শিক্ষার্থীদের সেবায় নিয়োজিত হলেন। সেই থেকে এখন অব্দি তিনি শিক্ষার্থীদের যথাযথ গাইডলাইন দিয়ে তাদের উচ্চশিক্ষা অর্জনে সহায়তা করে আসছেন। লিডবার্গ এডুকেশনে তার অন্তর্ভুক্তি তার ক্যারিয়ারকে যেমন উচ্চমাত্রা দান করেছে তেমনি লিডবার্গ এডুকেশনকে করেছে দেশ সেরা। প্রচুর সংখ্যক শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্নপূরণ তার হাত ধরেই সম্ভব হয়েছে।

কাউন্সিলর রাইসুল ইসলামের আন্তরিকতার বিষয়ে বর্তমানে কানাডায় অধ্যয়নরত তাবিব বলেন, রাইসুল ভাইয়া খুবই বন্ধুসুলভ। তার সাথে কথা বলে আমি খুবই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিষয়ে তার অনেক গভীর জ্ঞান থাকায় যেকোন বিষয়ে একদম সঠিক তথ্যটিই দিয়ে থাকেন। আমার কানাডায় পড়তে আসার পিছনে রাইসুল ভাইয়ার অবদান কখনো ভুলবার মতো নয়।

শুধু শিক্ষার্থীই নয়, কর্মক্ষেত্রেও রয়েছে তার বিশাল ভক্ত। এব্যাপারে লিডবার্গ এডুকেশনের সিইও জনাব রাকিব হাসান বলেন, রাইসুল সাহেব একজন চমৎকার ব্যক্তিত্ব। তিনি ভোজনরসিক হিসেবেই আমাদের প্রতিষ্ঠানে পরিচিত। এছাড়াও তার হাস্য-রস আমাদের এই জড় প্রতিষ্ঠানকে প্রানোচ্ছল করে তুলে। পাশাপাশি কাজের ব্যপারেও তিনি যথেষ্ট একাগ্র। তিনি আমাদের লিডবার্গ এডুকেশনের একটি অন্যতম চালিকাশক্তি।

এভাবেই সকলের ভালোবাসায় কাজ করে যাচ্ছেন রাইসুল ইসলাম। কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ আদায়করে নিয়েছেন বিভিন্ন পুরষ্কার ও সম্মাননা।  তাদের মতো কাউন্সিলরদের সঠিক দিকনির্দেশনাতেই আজ বিশ্বের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে দেশের অজস্র শিক্ষার্থী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *