আবুধাবি টি-টেন লিগের ষষ্ঠ আসর গত ২৩ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিল মোট ৮টি দল। প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে চলা টুর্নামেন্টে মোট ৩৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে নিউইয়র্ক স্ট্রাইকার্সকে ৩৭ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ডেকান গ্ল্যাডিয়েটরস।
আবুধাবি টি-টেন লিগে বেশিরভাগ স্পন্সর ছিল বিভিন্ন বেটিং কোম্পানি। লিগে ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকরা দলের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ করে বোলিং এবং ব্যাটিং কম্বিনেশনগুলো ঠিক করে দিয়েছিলেন। এমনও দেখা গেছে, অনেক ব্যাটারই খারাপ শট খেলে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাদের উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন।
এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে টুর্নামেন্টে ফিক্সিং কেলেঙ্কারির অভিযোগে তদন্তে নেমেছে আইসিসি। এসময় দুর্নীতির ৬টি মামলার তদন্ত শুরু করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, দুর্নীতি দমন শাখা টুর্নামেন্ট চলাকালীন এক ডজনেরও বেশি দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছিল। ম্যাচ গড়াপেটার কার্যকলাপ নিয়ে তদন্ত শুরু করছে আইসিসি।
বলা হয়েছে যে, টুর্নামেন্ট চলাকালীন প্রায় ১৮ মিলিয়ন ডলার বাজি ধরা হয়েছিল। প্রতিটি ম্যাচে প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার করে বাজি হয়।
লিগটি সম্পূর্ণভাবে বেটিং কোম্পানিগুলির দ্বারাই স্পনসর করা হয়েছিল এবং এটি দৃঢ় ভাবে দাবি করা হয় যে, ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকেরা দলের বোলিং এবং ব্যাটিং কম্বিনেশনগুলি ঠিক করে দিয়েছিলেন এবং তারকা ক্রিকেটারদের স্বল্প নোটিশে বাদ দেওয়া হয়। এমনও দেখা গেছে, অনেক ব্যাটারই খারাপ শট খেলে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাদের উইকেট ছুড়ে দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, খেলোয়াড় এবং দলের মালিকদের মধ্যে কিছু সন্দেহজনক কার্যকলাপের অভিযোগ পেয়েছিল আইসিসি।