জতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ যেমন সামরিক শাসনের যাঁতাকলে ছিল। ঠিক তেমনি শিক্ষাব্যবস্থায়ও নাজুক পরিস্থিতি ছিল। গোটা জাতিকে ভুল ইতিহাসের মধ্যে নিমজ্জিত করা হয়েছিল। সেটির বিপরীতে তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট চালু করা হয়। বাংলাদেশের আগামী প্রজন্মকে গড়ে তোলার পবিত্র দায়িত্ব জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. মশিউর রহমান
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরো বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবসৃষ্টি, নবধারাকে আমরা এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই যেখানে প্রকৃত অর্থেই মুক্তিযোদ্ধারা প্রশান্তি পাবে। প্রতিটি সন্তানকে দেশপ্রেমিক সুনাগরিক, সৃজনশীল, বিজ্ঞানমনস্ক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের প্রজন্ম এমনভাবে গড়ে উঠবে, তারা যেন স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের যোগ্য প্রতিনিধি হয়।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ম পরিকল্পনা তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সত্যিকার অর্থেই একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই। সে কারণেই স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস অবশ্যপাঠ্য করা হয়েছে। আমরা একাডেমিক মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছি।
তিনি বলেন, মাস্টার প্ল্যানের অংশ হিসেবে আমরা ইতোমধ্যে ১২টি পিজিডি কোর্স চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাশাপাশি ১৯টি শর্ট কোর্স চালু করতে যাচ্ছি। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে অনার্স ১ম বর্ষে আইসিটি এবং তৃতীয় বর্ষে সফট স্কিল অবশ্যপাঠ্য হিসেবে চালু হবে। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের চিন্তার জগতে, মননে, মানসে নতুন সমাজের স্বপ্ন বুনে দিতে চাই।