আগামী মার্চেই ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। গুঞ্জন শুরু হয়েছে, ইংল্যান্ড সিরিজের আগেই প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোকে বিদায় দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ ব্যাপারে বিসিবি নীতিগত সিদ্ধান্তও নিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
বিসিবির সিদ্ধান্তে আকস্মিক কোনো রদবদল না ঘটলে ডোমিঙ্গোর বাংলাদেশ অধ্যায় আপাতত শেষই বলা যায়। কারণ, ভারত সিরিজ শেষে দেশে ফিরে যাওয়া রাসেল ডোমিঙ্গোকে দ্রুতই চাকরিচ্যুতির নোটিশ পাঠিয়ে দেয়া হবে। বিসিবি যে তাকে বাদ দিতে চাচ্ছে, সে বিষয়টা এরই মধ্যে নাকি জেনে গেছেন তিনি।
২০২২ সাল বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য খুব বেশি পয়মন্ত না হলেও অতটাও খারাপ কাটেনি। ওয়ানডে ফরম্যাটটা বাংলাদেশ বরাবরই ভালো খেলে। চলতি বছরও তার খুব একটা বাত্যয় ঘটেনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাদের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ ব্যতীত এই ফরম্যাটটা ভালোই কাটিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট।
তবে খুব বেশি খুশি করতে পারেননি ডমিঙ্গো। বিশেষ করে লম্বা সময় ধরে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থাকলেও হাইলি কম্পিটিটিভ করে তুলতে পারেননি এই কোচ। এমনকি এই কোচের ক্রিকেট দর্শনটাও লম্বা সময়ের জন্য দলের জন্য সুখকর বলে মনে হচ্ছে না বোর্ডের কাছে। দলের উপর কোচের কতৃত্বেরও অভাব রয়েছে ডমিঙ্গোর।
এদিকে চুক্তি অনুসারে ডমিঙ্গোর কোচিংয়ের মেয়াদ এখনও তিন মাস বাকি রয়েছে। যদিও চুক্তি শেষ হওয়ার আগে ডমিঙ্গোকে বিদায় দেয় বোর্ড তবে প্রায় ৫০ হাজার ডলারেরও বেশি অর্থ জরিমানা দিতে হবে বিসিবিকে। কারণ ডমিঙ্গোর মাসিক স্যালারি সব খরচ বাদে ১৮ হাজার ডলার করে। অবশ্য বিসিবি চাইলে এই সময়ের মধ্যে ডমিঙ্গোকে অন্য কাজে লাগাতে পারে।