গুচ্ছভুক্ত দেশের ২২ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে মাইগ্রেশন বন্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা থেকে থেকে সরে এসেছে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজক কমিটি। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে মাইগ্রেশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয় তা জানতে চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্ট থেকে রুল জারির একদিন পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার রাতে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির ভার্চুয়াল এক সভা এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা যুক্ত ছিলেন। সভা শেষে সভায় উপস্থিত একজন উপাচার্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছে ভর্তির ষষ্ঠ মেধাতালিকা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ মাইগ্রেশন চালু ছিল। তবে সপ্তম মেধাতালিকা প্রকাশের পর প্রাথমিকভাবে ভর্তি হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে। টেকনিক্যাল কমিটির এ সিদ্ধান্তের কারণে গুচ্ছে প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন ফাঁকা থাকলেও শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারছেন না। মাইগ্রেশন বন্ধ হয়ে যাওয়াতে বিপাকে পড়েছেন একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থীরা।
পরে গত সোমবার গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে মাইগ্রেশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন রুবেল মিয়া, সাকিব আহমেদ ও আলভী নামে তিন শিক্ষার্থী। রিটে বিবাদী করা হয় শিক্ষা সচিব, গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যকে।
একদিন পর মঙ্গলবার গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে মাইগ্রেশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয় তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। আগামী ১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে রিট আবেদনকারীদের মাইগ্রেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন আদালত। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
এদিকে, আজকের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির ভার্চুয়াল সভা শেষে সেখানে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন উপাচার্য বলেন, সপ্তম মেধাতালিকা মাইগ্রেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আজকের মিটিংয়ে সেটি চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সপ্তম মেধাতালিকা থেকে চালু না হলে কিছু ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীতো বঞ্চিত হয়ে যায়।
সপ্তম মেধাতালিকায় ভর্তি শেষ তাহলে কিভাবে সম্ভব, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা মাইগ্রেশন করবে তাদের সংখ্যাতো বেশি না। আর এর আগে যারা ভর্তি হয়েছে তারা সেভাবে থেকে যাবে। তারা কোন ক্ষতিগ্রস্থ হবে না। অন্যদিকে, নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে বেশি মার্কস পেয়েও যারা মাইগ্রেশন করতে পারেনি, তাদের দুঃখও আর থাকবে না।