ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যু নিয়ে সারাবিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও কোমলপানীয় ব্র্যান্ড কোকাকোলা বয়কটের ডাক দিয়েছে সাধারণ জনগণ। সম্প্রতি এই কোমলপানীয়র বাংলাদেশের একটি বিজ্ঞাপন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। এতে বিজ্ঞাপনটিতে মডেল হিসেবে ছিলেন অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন, শিমুল শর্মা, আব্দুল্লাহ আল সেন্টু প্রমুখ।
এবার কোকাকোলা বয়কটের পাশাপাশি অভিনয়শিল্পীদের বয়কটের হুমকি দিয়েছেন নেটিজেনরা। বিভিন্ন গ্রুপ থেকে শুরু করে অনেকে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে বয়কটের ডাক দিয়েছেন।
সাব্বির আহমেদ নামে একজন ফেসবুকে শরাফ আহমেদ জীবন ও শিমুল শর্মার ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘বয়কট’ আবারো যুবকদের ইমোশন নিয়ে খেলছে, দেশের যুবসমাজ দের অশিক্ষিত ও মূর্খ ভাবছে তারা। আবার বিনোদনের জায়গায় ও তারাই কেন আমাদের পছন্দ হবে।
মুহাম্মদ আবু বাক্কার নামে একজন পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি কাজল আরিফিন অমি ও জিয়াউল হক পলাশ ভাইয়ের অনেক বড় একজন ভক্ত ছিলাম। তবে তার টিম-মেট দের এই ধরনের বিজ্ঞানের কারণে তাকে এবং তার টিমের সকল মেম্বারকে বয়কট ঘোষণা করলাম
অভিনেতা শিমুল শর্মা জানান, বাংলাদেশে কোক নিয়ে প্রোপাগান্ডামূলক একটি তথ্য ছড়িয়ে আছে। কোনো প্রোডাক্টকে যদি ধর্মীয় মোড়কে মুড়িয়ে ফেলা হয়, তাহলে কিছু করার নেয়। সবার নিজেদের জায়গা থেকে স্টেটমেন্ট দিতে পারে। সেই জায়গা থেকে কোকাকোলা বিজ্ঞাপনটি বানিয়েছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য অভিনেতা শরাফ আহমদ জীবনকে মুঠোফোনে একাধিক বার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এদিকে বিজ্ঞাপনটিতে শরাফ আহমেদ জীবন ও শিমুল শর্মাকে দেখা যাওয়ায় অনেকেই মনে করছেন কাজল আরেফিন অমি এই বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে অনেকেই এই নির্মাতাকে নানা মন্তব্য করছেন। তবে অমি জানালেন ভিন্ন কথা।
অমি জানান, বিজ্ঞাপনের দুই শিল্পীকে দেখে অনেকেই মনে করছেন এটি আমি নির্মাণ করেছি। এমন বিজ্ঞাপন নির্মিত হয়েছে আমি জানতামও না। প্রচারের পরে জানতে পেরেছি। অনেকে আমাকে ভুল বুঝে টেক্সট দিচ্ছেন।
বিষয়টি নিয়ে অমি নিজেই ফেসবুকে লিখেছেন, আমি কখনও বিজ্ঞাপন বানাইনি, আমি নাটক, ওয়েব ফিল্ম, ওয়েব সিরিজ নিয়েই কাজ করেছি, ভবিষ্যতে সিনেমা বানাব।