কাতার বিশ্বকাপের চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে চতুর্থ এবং শেষ দল হিসেবে সেমিফাইনালে চলে গেল বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ফাইনালে ওঠার লড়াই তাদের খেলতে হবে ইতিহাস সৃষ্টি করে প্রথমবার সেমিতে ওঠা মরক্কোর বিপক্ষে।
শুরু থেকেই দুই পরাশক্তির দুর্দান্ত লড়াই উপভোগ করতে থাকে সবাই। ম্যাচের ১২ নিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ পায় ফ্রান্স। ডান পাশ থেকে ডেম্বেলের ক্রসে জিরুডের হেড সোজা চলে যায় ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ডের হাতে৷
ম্যাচের ১৭ মিনিটে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। কাউন্টার অ্যাটাকে ফরাসিরা। এমবাপ্পে রাইসকে কাটিয়ে ডানদিকে সুইচ করেন এবং গ্রিজম্যানকে পাস বাড়ান। বলটি গ্রিজম্যান দেন চুয়ামেনিকে। ২৫ গজ দূর থেকে ডান পায়ের বুলেট গতির শটে গোল করতে ভুল করেননি তিনি।
এক গোলে পিছিয়ে পড়ে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। ২৩ মিনিটে হ্যারি কেইন দারুণ শট নিলে সেটি রুখে দেন লরিস। ২৭ নিনিটে ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ায় হ্যারি কেইনের পেনাল্টি আপিল। ভিএআর এর মাধ্যমে দেখা যায় ফাউলটি ডি বক্সের বাইরে হয়েছিল যার দরুণ পেনাল্টি বঞ্চিত হয় তারা। ৩০ মিনিটে আবারও হ্যারি কেইনের দূরপাল্লার বুলেট গতির শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন লরিস।১-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে ফ্রান্স।
মিনিটে গোলও পেয়ে যায় ইংলিশরা। এ সময় ডান পাশ থেকে বল নিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন সাকা। ডি বক্সের ভেতর শট নিবেন এমন সময় তাকে ফাউল করে বসেন টিচুয়ামেনি। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। স্পট কিক থেকে গোল করে ইংল্যান্ডকে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফেরান ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন।
৭৮ মিনিটে আবারও ফ্রান্সের লিড। গ্রিজম্যানের ক্রস প্রতিপক্ষ ডিফেন্সে ধাক্কা খেয়ে তার কাছেই ফেরে। আবারও গ্রিজম্যানের ক্রস থেকে হেডে গোল জিরুদ।ফ্রান্সের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা জিরুড গোল কিরে দলকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন৷
৮২ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর হার্নান্দেজের হাতে বল লাগলে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেয়। কিন্তু হ্যারি কেইন এত জোরেই শট নিলেন যে বল চলে গেল গোলবারের উপর দিয়ে। ম্যাচের শেষ দিকে আরো আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পায়নি ইংল্যান্ড। ফলে ২-১ ব্যবধানের জয়ে আবারো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলো এমবাপেরা।