গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বৃষ্টির কারণে ভূমিধসের ঘটনায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ধসে পড়া বাড়ি-ঘর এবং ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লোকজনকে উদ্ধারে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। খবর আল জাজিরার।
কঙ্গো নদীর তীরে অবস্থিত মঙ্গোলা প্রদেশের লিসাল শহরে স্থানীয় সময় রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভারী বৃষ্টির প্রভাবে ভূমিধস আঘাত হানে। সুশীল সমাজ বিষয়ক সংগঠন ফোর্সেস ভাইভসের প্রেসিডেন্ট মাত্থিয়েউ মোল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ভূমিধসে পাহাড়ে অবস্থিত বাড়ি-ঘর ধসে পড়েছে। এর জেরেই বহু প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।ি
মাত্থিয়েউ মোল বলেন, ভারী বৃষ্টির কারণে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর কারণে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে এবং বহু-বাড়ি ঘর ধসে পড়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
ওই প্রদেশের গভর্নর সিসার লিমবায়া বাঙ্গিসা হতাহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রদেশের তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন। লিমবায়া জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে পুরো এলাকা পরিষ্কার করতে এবং জীবিতদের উদ্ধারে জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন সরঞ্জাম প্রয়োজন।
জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষজ্ঞ বলেন, দারিদ্র্য এবং দরিদ্র অবকাঠামো এই অঞ্চলের জনগণের জন্য চরম আবহাওয়া যেমন ভারী বৃষ্টিপাত এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয় আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আফ্রিকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ আগের তুলনায় বাড়ছে এবং তীব্র হয়ে উঠছে।
এর আগে গত এপ্রিলে কিভু প্রদেশের উত্তরের লুবেরো অঞ্চলে ভূমিধসের ঘটনায় ১৬ জন প্রাণ হারায়। সে সময় এক দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিশেকেদি।