কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোলে ফ্রান্সের দারুণ জয়। এই জয়ে কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলো নিশ্চিত করলো ফরাসিরা। প্রথমার্ধে বারবার আক্রমণ করেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। ৬১ মিনিটে ড্যানিশ দুর্গ ভেঙে প্রথমবার জালে জড়ান। বেশিক্ষণ উল্লাস করতে পারেনি ফরাসিরা। ৭ মিনিট না যেতেই ক্রিসটেনসেনের গোলে সমতা আনে ডেনমার্ক। এরপর ফ্রান্সদের ত্রাতা হয়ে আবার আসেন এমবাপ্পে। মাত্র ২ গজ দূর থেকে থাইয়ের মাধ্যমে গোল করে এগিয়ে দেন ফ্রান্সকে। এই গোলের আর সমতা আনতে পারেনি ডেনমার্ক। ২ ম্যাচে ফ্রান্সের ২টিতেই জয়।
দুই দলই একের অধিক পরিবর্তন নিয়ে দল সাজায়। ম্যাচের ২২ মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ তৈরি করে ফ্রান্স। গ্রিজম্যানের ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে ডেম্বেলের বাড়ানো বলে রাবিও হেড করলে ড্যানিশ গোলরক্ষক ক্যাসপার স্মাইকেল দুর্দান্ত ভঙিমায় সেটি রুখে দেন। ৩৫ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ডেনমার্ক গোল করার চেষ্টা করে কিন্তু ফ্রান্সের দুর্দান্ত ডিফেন্সের কাছে সেটি পরাস্ত হয়ে যায়।
৪১ মিনিটে গোলের অন্যতম সহজ সুযোগ পায় ফ্রান্স ও ডেম্বেলে। এমবাপ্পেকে লক্ষ্য করে দারুণ এক পাস দেনে ডেম্বেলে। কিন্তু এমবাপ্পের শট গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। গোলশূন্য ড্র নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।
৪৮ মিনিটে চাপ বাড়ানোর চেষ্টা ডেনমার্কের। বাঁ প্রান্ত ধরে উঠে বক্সে বল রাখেন এরিকসন। কিন্তু সেই বল কাজে লাগাতে পারেননি কোনও সতীর্থ।
৫০ মিনিটে বাম প্রান্ত ধরে বল নিয়ে ডেনমার্কের বক্সে ওঠেন এমবাপ্পে। তিনি বল বাড়ান ডেম্বেলেকে। ফিরতি বলে পা দেওয়ার আগেই সেই বল ধরে নেন স্মাইকেল।
৬০ মিনিটে ডেনমার্কের রক্ষণ ভাঙে ফ্রান্স। বাঁ দিকে থেকে এমবাপ্পেকে পাস দেন হার্নান্দেজ। পাল্টা তাকে পাস বাড়ান এমবাপ্পে। গোল লাইন থেকে বক্সে বল রাখেন হার্নান্দেজ। চলতি বলে ডান পায়ের শটে গোল করেন এমবাপ্পে। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স।
৬৮ মিনিটে সমতায় ফেরে ডেনমার্ক। ম্যাচে ফ্রান্সকে বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে দেননি বার্সেলোনার ডিফেন্ডার ক্রিস্টেনসেন। তবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা কি দমে থাকার পাত্র! হলোও তাই। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে গ্রিজম্যানের অসাধারণ ক্রসে গোল করে দলকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন এমবাপে। জোড়া গোল করে বিশ্বকাপে মাত্র ২৩ বছর বয়সে সাত গোলের মালিক হয়ে যান এই ফরাসি তারকা ফুটবলার। শেষ দিকে আরও গোলের সুযোগ পেলেও ফ্রান্স আর গোল করতে ব্যর্থ হলে ২-১ গোলের জয়ে নকআউট রাউন্ড নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স