দুই দলের মধ্যে আছে চরম বৈরিতা। বিশ্বকাপের মঞ্চে যখন একই গ্রুপে জায়গা হয়েছে ঠিক তখন থেকেই যেন আলাদা উত্তাপ ছড়িয়েছে। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পেরে উঠতে পারেনি ইরান। কাতার বিশ্বকাপে তাদের কাছে হেরে নক আউট পর্বের স্বপ্ন বিলীন। পালিসিচের দেওয়া একমাত্র লক্ষ্যভেদে ইরানকে হারিয়ে শেষ ষোলোতে পৌঁছে গেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ম্যাচের শুরু থেকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থকে যুক্তরাষ্ট্র। ১২ মিনিতে পুলিসিচের করা হেড সহজেই তালুবন্দী করেন ইরান গোলরক্ষক। ২৯ মিনিটে টিমোথি উইয়াহর শটও রুখে দেন ইরানিয়ান গোলরক্ষক।
পুরো প্রথমার্ধে বল দখলে এগিয়ে থেকে ৩৯ মিনিটেই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় আমেরিকা। ডান পাশ থেকে সার্জিনো ডেস্টের হেড থেকে বাড়ানো বলে ইরান রক্ষণভাগকে বোকা বানিয়ে বল জালে জড়ান ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ। এই গোলেই ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আমেরিকানরা।
বিরতির পর যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণের জবাবে ইরান প্রতি আক্রমণের চেষ্টা করেছে। শুরুতে সার্গেন্টের ৪৭ মিনিটে শট প্রতিহত হলে যুক্তরাষ্ট্রের স্কোরলাইন বাড়ানো যায়নি।
৫২ মিনিটে ইরান বলার মতো আক্রমণ করতে পেরেছে। সবচেয়ে ভালো সুযোগ পেয়েও নষ্ট করেছে। রামিন রেজাইনের ক্রসে বক্সের সামনে থেকে সামান গডসের হেড পোস্টের ওপর দিয়ে গেলে সমর্থকরা হতাশ হয়।
৬৯ মিনিটে ইউনুস মুসার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরের মিনিটে ইরান সুযোগ পায়। সামা গডসের এসিস্টে সৈয়দ এজাতোলাহির বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শট অনেক ওপর দিয়ে যায়।
যোগ করা সময়ে মোরতেজার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে ইরানের আর ম্যাচে ফেরা হয়নি। ম্যাচের শেষটুকু ১-০ স্কোরলাইন রেখেই মাঠ ছেড়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বি গ্রুপ থেকে ইংল্যান্ড ৩-০ গোলে ওয়েলসকে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্র ১-০ গোলে ইরানের বিপক্ষে জিতে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে নক আউট পর্বে লড়বে।