ধর্ম

অজুর পর কালেমা শাহাদাত পাঠ করার ফজিলত

অজু একটি ইবাদত। অজু করার পর কালেমা পড়া একটি ইবাদত। এরপর দুই রাকাত নামাজ পড়া আরেকটি ইবাদত। এ সবগুলোই সওয়াব ও ফজিলতের কাজ। অজু করা, কালেমা শাহাদাত পড়া ও দুই রাকাত নামাজ পড়া সম্পর্কে হাদিসে সুন্দর একটি ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। যেখানে এ আমল ও ইবাদতগুলোর বর্ণনা ও ফজিলত ওঠে এসেছে। কী সেই ঘটনা?

হজরত উকবাহ ইবনু আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমার ওপর উট চড়ানোর দায়িত্ব ছিল। আমার পালা এলে আমি উট চরিয়ে বিকেলে ফিরিয়ে নিয়ে এলাম। এরপর (ফিরে এসে) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পেলাম, তিনি দাঁড়িয়ে লোকেদের সঙ্গে কথা বলছেন। তখন আমি তার এ কথা শুনতে পেলাম, ‘যে মুসলিম সুন্দরভাবে অজু করে তারপর দাঁড়িয়ে দেহ ও মনকে পুরোপুরি আল্লাহর প্রতি নিবদ্ধ রেখে দু’ রাকাত নামাজ আদায় করে সে অবশ্যই জান্নাতে যাবে।

হজরত উকবাহ বলেন, কথাটি শুনে আমি বলে উঠলাম, বাহ! হাদিসটি কত চমৎকার! তখন আমার সামনের একজন বলতে লাগলেন, আগের কথাটি আরও উত্তম। আমি সে দিকে তাকিয়ে দেখলাম তিনি ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু। তিনি আমাকে বললেন, তোমাকে দেখেছি, এ মাত্র এসেছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আগে বলেছেন-

مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يَتَوَضَّأُ فَيُبْلِغُ – أَوْ فَيُسْبِغُ – الْوَضُوءَ ثُمَّ يَقُولُ:

‘তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি উত্তম ও পূর্ণাঙ্গ রূপে অজু করার পর বলে-

أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ

‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো ইলাহ (উপাস্য) নেই , তিনি এক, তাঁর কোনো শরিক নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দাহ ও রাসুল।’

إِلَّا فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةُ يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شَاءَ

তাহলে তার জন্যে জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেওয়া হয়। সে ইচ্ছা করলে এর যে কোনো দরজা দিয়ে (জান্নাতে) প্রবেশ করতে পারবে।’ (মুসলিম ২৩৪)

আল্লাহ তাআলা মানুষের জন্য ইসলামের প্রত্যেকটি কাজকেই ফজিলতপূর্ণ করেছেন। কারণ, আল্লাহ তাআলা মানুষকে বেশি ভালোবাসেন। ফজিলতপূর্ণ আমলগুলোর কারণে মানুষ যেন ইবাদাত-বন্দেগির প্রতি উদ্বুদ্ধ হয়ে নেক আমল করে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসে উল্লেখিত দুটি আমলই যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। অজু করে কালেমা শাহাদাত পড়ে যে কোনো দরজা দিয়ে জান্নাতে যাওয়ার তাওফিক দান করুন। আর অজুর পর নামাজ পড়ে নিজেদের স্থান জান্নাতে করে নেওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *